মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের গত প্রায় ২০ বছরের রীতি ভেঙে এবার মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নৈশভোজের আয়োজন করেননি। খবর বিবিসির।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সময় থেকে প্রতি বছরই এই নৈশভোজের আয়োজন করা হচ্ছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পক্ষ থেকে মেলানিয়া এবং আমি মুসলিমদের প্রতি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমাদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’
‘এই ছুটির সময় আমাদের করুণা, দয়া এবং শুভেচ্ছার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের মুসলিমদের সঙ্গে এসব মূল্যবোধকে সম্মান করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। ঈদ মুবারক।’
জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবার এরকম একটি সংবর্ধনা আয়োজনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মে মাসে রয়টার্স খবর দেয়, টিলারসন পররাষ্ট্র দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেন।
তবে টিলারসন একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে মুসলিমদের প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিগত নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় তার মুসলিমবিরোধী কথাবার্তার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন – যার মধ্যে একটি ছিল মসজিদের ওপর নজরদারির আহ্বান।
জানা যায়, হোয়াইট হাউসে প্রথম ইফতার ডিনার দেয়া হয়েছিল ১৮০৫ সালে – প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসনের সময়, একজন তিউনিসিয়ান রাষ্ট্রদূতের সম্মানে।
পরে মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন এই প্রথা পুনরুজ্জীবিত করেন ১৯৯৬ সালে।
১৯৯৯ সাল থেকে এটা হোয়াইট হাউসের নিয়মিত অনুষ্ঠানে পরিণত হয় – যাতে মার্কিন মুসলিম সমাজের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক এবং আইনপ্রণেতারা যোগ দিতেন।