বাণিজ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলুর সমালোচনা করেছেন । বলেছেন, ‘বাবলু আমার প্রিয় মানুষ। ছাত্রজীবন থেকেই সম্পর্ক। বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় তিনি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাহলে তার মামাশ্বশুর, দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পদত্যাগও তিনি চাইতে পারতেন। কারণ তার বয়স ৮৬ বছর।’
বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে জিয়াউদ্দিন বাবলু অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনার অনেক বয়স হয়েছে। আপনি বিদায় নিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে মুক্তি দিন।’
বাজেট আলোচনায় যেসব সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন তাদের দিকে ইঙ্গিত করে তোফায়েল বলেন, ‘আপনারা সমালোচনা করার অধিকার রাখেন। তবে অর্থমন্ত্রী সংসদে এটা প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই বাজেট পেশ করেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (অর্থমন্ত্রী) অনেক প্রাজ্ঞ একজন মানুষ। তিনি বেঁচে থাকলে আর আমরা আবার ক্ষমতায় এলে তিনি আরও বাজেট দেবেন।’ মন্ত্রী জানান, এই বাজেটের অনেক সমালোচনা সংবাদপত্রে এলেও ব্যবসায়ীরা বাজেটে খুশি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তোফায়েল বলেন, ‘তিনি প্রতিদিন ইফতারে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের নেত্রী ইফতার মাহফিলে কোনো বক্তব্য দেন না, শুধু দোয়া করেন।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা আমাদেরকে জালেম সরকার বলেছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কী জুলুম উনি করে করেছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামটা পর্যন্ত বিশেষণসহ উল্লেখ করেন না। আমরাও চাইলে পারি তার নাম সেভাবে উচ্চারণ করতে, কিন্তু আমরা তা করবো না। তিনি মনের মধ্যে যে ক্ষোভ ও প্রতিহিংসা পোষণ করেন তাই প্রকাশ পায় বক্তৃতায়।’
তোফায়েল বলেন, ‘খালেদা বলেছেন, তিনি নাকি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন না, নির্বাচন প্রতিহত করবেন। তিনি ২০১৪ সালে সফল হননি, আগামীতেও সফল হবেন না।’