স্টার্ট বন্ধ করে বসে আছেন চালক। অসহায় বাস যাত্রীরা। এক মিনিট দুই মিনিট করে কমপক্ষে বিশ মিনিট। দুটি বড় হাসপাতালের রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও কাঁদছে চিৎকার করে। না কিছুতেই সিগন্যাল ছাড়ছে না দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কিংবা সার্জেন্ট। শাহবাগের দিক থেকে আসা শেরাটন সিগন্যালের নিত্যদিনের চিত্র এটি। পক্ষান্তরে ওই সময় দেখা গেছে ভিআইপি রোডের সিগন্যাল ছাড়া হয়েছে কমপক্ষে তিন বার। এরপর বাংলামোটর দিক থেকে শাহবাগ যাওয়া গাড়িগুলোও ছাড়া হচ্ছে একইভাবে। বাংলামোটর দিক থেকে যাওয়া অনেক গাড়ি শেরাটন সিগন্যালে গিয়ে ইউটার্ন নেয়। এ কারণে আটকে রাখা হয় শাহবাগের দিক থেকে আসা গাড়িগুলো। ফলে সচল থাকে দুটি সিগন্যাল। আর অপর সিগন্যালের জ্যাম গিয়ে ঠেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত। কখনো কখনো প্রেস ক্লাব পর্যন্ত। এখানকার গাড়িগুলো আটকে রাখার প্রধান কারণ এসব গাড়ি জনসাধারণের। আর তিনবার যে সিগন্যাল ছাড়া হয় ওই রোডে চলে ভিআইপিদের গাড়ি। তাদের আটকে রাখলে সমস্যা আছে। কিন্তু আজ যা দেখলাম না লিখে পারলাম না। প্রতিটি যাত্রীবাহী বাস থেকে গালাগাল করা হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টদের পিতা-মাতাকে। বাসের চালক ও হেলপাররাও সমানতালে বিশ্রি ভাষায় গালাগাল করছেন। শেরাটন সিগন্যালে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টরা যদি এসব গালি শুনতেন তাহলে হয়তো নিজেই লাজে মরে যেতেন। তাদের বলছি, দয়া করে আর আপনার পিতা-মাতাকে গালি শুনাবেন না। একচোখা নীতিতে দায়িত্ব পালন ছাড়ুন। পিতা-মাতাকে গালি থেকে রক্ষা করুন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |