আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ২২ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন । বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশী বাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এদিন হাজিরা দিতে গুলশানের বাসভবন থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। পরে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদকে আংশিক জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান জানান, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আংশিক জেরার পর আদালত আগামী ২২ জুন পুনরায় জেরার জন্য দিন ধার্য করেন। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় অবেদন করা হয়। বিচারক সময় মঞ্জুর করে একই দিন এ মামলায় শুনানির দিন ধার্য করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত বছর ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন। এর আগে গত ৮ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে পুনরায় জেরা করার অনুমতি দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।