যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে বাংলাদেশি এক কূটনীতিক গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে বিবিসি। গ্রেপ্তার হওয়া ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, নিউ ইয়র্কে তার বাসায় আরেক বাংলাদেশি নাগরিককে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য করেছেন।
ওই শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পরই অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকে দিয়ে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করান বলেও অভিযোগ এসেছে।
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান জানান, অভিযুক্তকে ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন আদেশ দেয়া হয়েছে তবে তিনি এখনো মুক্ত হননি। তাকে ১২ জুন সকালে আটক করে পুলিশ। আগামী ২৮ জুন তাকে আবারও আদালতে হাজির হতে হবে।
নিউ ইয়র্কের কুইন্সবরোর অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন এমন অভিযোগকে খুবই উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মকর্তা আনুমানিক ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনও ধরনের অর্থ ছাড়াই একজন ব্যক্তিকে তার বাড়িতে কাজ বাধ্য করেন। এরপর মোহাম্মদ আমিন নামে ওই ব্যক্তি গত বছর মে মাসে পালিয়ে যায় এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।
ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন বিবৃতিতে বলেন, এই ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন কনস্যুলার তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রথমদিন থেকেই ওই কর্মীকে কাজে আটকে রাখার জন্য তার পাসপোর্ট নিয়ে নিয়েছেন। তাকে বেতন দিতে অস্বীকার করেছেন এবং অন্যদেশে থাকা তার পরিবারকে বিপদে ফেলার ভয় দেখান। এইসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।
অভিযুক্ত কূটনীতিকের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ১৫ বছরের জেল খাটতে হতে পারে। কনস্যুলেট কর্মকর্তারা বলেন, আইনি পদক্ষেপ মোকাবেলার জন্য তারা সবোর্চ্চ চেষ্টায় আছেন।
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান বলেন, তারা মনে করেন অভিযোগকারী ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন, যা সত্য নয়।