প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে পৃথক ঘটনায় মা-মেয়েসহ অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন বান্দরবানে । এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (১৩ জুন)  ভোরে শহরের কালাঘাটা ও লেমু ঝিড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, শহরের লেমু ঝিড়ি জেলেপাড়া এলাকার আবদুল আজিজের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৪০), তার মেয়ে সুখিয়া বেগম (৮), কালাঘাটা এলাকার রেবা ত্রিপুরা (২২), লেমু ঝিড়ি আগাপাড়া এলাকার তিন শিশু- শুভ বড়ুয়া (৮), মিতু বড়ুয়া (৬) ও লতা বড়ুয়া (৫)।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, টানা বর্ষণের ফলে রাত সাড়ে তিনটার দিকে শহরের লেমু ঝিড়ি জেলেপাড়া এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে ঘরের ওপর পড়লে মা কামরুন্নাহার বেগম ও মেয়ে সুখিয়া বেগম মারা যায়। এ সময় কামরুন্নাহারের স্বামী আবদুল আজিজও গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রায় একই সময়ে লেমু ঝিড়ি আগাপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে লাল মোহন বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তির ঘরের ওপর পড়লে তার তিন শিশু সন্তান- মিতু, শুভ ও লতার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া রাতে প্রবল বর্ষণের সময় শহরের কালাঘাটা এলাকার কবরস্থানের পাশে ঘরের ওপর মাটি চাপা পড়লে রেবা ত্রিপুরা নামে বান্দরবান সরকারি কলেজের ছাত্র নিহত হন।

এ সময় আরো চার কলেজ ছাত্র আহত হন। এরা হলেন, বীর বাহাদুর ত্রিপুরা, সূর্য চাকমা ও প্রশেন ত্রিপুরা। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, আহতরা সবাই ওই এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। নিহত রেবা ত্রিপুরা রাতে তাদের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ঘোষ জানান, খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে পড়া মাটির গভীরতা বেশি হওয়ায় মা-মেয়ের লাশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাটি খুঁড়ে তাদের লাশ বের করার চেষ্টা চলছে।

বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে বলে দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031