ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পাস করলে চাকরির দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় টিকবে, তারপর নিয়মমতো আমি প্রত্যেকের চাকরির জন্য চেষ্টা করব।’
রবিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট মিলনায়তনে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাকরির দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমি তোমাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদেরকে ভাল কাজ ও ভাল করে পড়ালেখা করার তাগাদাও দেন কাদের। বলেন, ‘এমন কিছু করবে না যাতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদেরকে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি থেকে দূরে থাকার নির্দেশও দেন কাদের। বলেন, ‘টাকার প্রয়োজনে তোমরা কোন অপকর্ম করবে না, তোমরা আমার কাছে আসবে , আমি তোমাদের সাহায্যে করব।’
ছাত্রলীগের নেতাদেরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মিছিলে আসার জন্য কাউকে বাধ্য করবে না, ভাল আচরণ, ভালবাসা দিয়ে সাধারণ ছা্ত্রদের বুঝাবে। তাদের পক্ষে কাজ করবে। ক্ষমতার দাপট কখনো দেখাবে না ।’
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদেরকে কাদের বলেন, ‘তোমাদের কাজ হবে সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপপ্রচার চলছে সেগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’ গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অপপ্রচার রোধ করতে ছাত্রলীগকে একটা করে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে আর আজিজ মার্কা নির্বাচন হবে না। কারণ, এখন আর আপনার আমলের মত ভুয়া ভোটার নেই। আপনি (খালেদা জিয়া) তো আপনার আমলে প্রায় ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভূয়া ভোটার তৈরে করেছিলেন। এখন নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সরকার শুধু কমিশনকে তার কাজে সাহায্য করবে।’
‘আগামীতে আর কখনোই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কিংবা মাগুরা মার্কা নির্বাচন হবে না’-বলেন কাদের।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সোহান খান, মশিউর রহমান শরিফ, যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু, সদস্য রাসেল খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।