আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইফতার পার্টিতে আলোচনা সভার আয়োজন করার সমালোচনা করেছেন। এ সময় অন্য কথা না বলে দোয়া দরুদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে গিয়ে এই কথা বলেন কাদের।
ইফতারের আগে দেয়া এই বক্তব্য অবশ্য দীর্ঘ করেননি আওয়ামী লীগ নেতা। মিনিট চারেক কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘আপনারা আমাদের নেত্রীকে অনুসরণ করুন। ইফতার মাহফিলে আয়োজন করে তিনি কোন ভাষণ দেন না। এখন পর্যন্ত কোন ইফতারে তাকে আমি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে দেখি নাই। তিনি দোয়া দরুদ পড়েন। রোযা রেখে ইফতারে মিথ্যাচারের আসর আওয়ামী লীগ কখনও বসায় না।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের সবাইকে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করা উচিত।’
দলের অন্য জ্যেষ্ঠ নেতা থাকলে তাকে প্রধান অতিথি না করতে অনুরোধ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘আজকে এখানে আমাকে দাওয়াত করেছেন কিন্তু এখানে অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছে। আমি সেখানে প্রধান অতিথি হলে তারা কষ্ট পাবেন। তাই যেখানে সিনিয়র নেতা রয়েছে সেখানে আমাকে প্রধান অতিথি করবেন না।’
দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের নামের সঙ্গে মিল রেখে গড়ে উঠা বিভিন্ন সংগঠনকে রাজনীতি ও দেশের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। এসব দোকান বন্ধ করতে আবারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ভুঁইফোড় দোকান বন্ধ করে দিতে পারলে দলের জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।’
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দোকান হিসেবে পরিচয় পাওয়া এসব সংগঠন চাঁদাবাজিতে জড়িত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কাদের। এসব দোকানের অনুষ্ঠানে না যেতে দলের নেতাদের অনুরোধও করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাঁদাবাজির দোকান বন্ধ করে দিন। চাঁদাবাজির দোকানে আপনারা গেলে উৎসাহিত হয়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এখন ইফতার পার্টির দাওয়াত নিয়ে আসে। চাঁদাবাজি করে ইফতার পার্টি করার জন্য। ঈদকে সামনে রেখে তারা চাঁদাবাজি করছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, নগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।