হাইকোর্ট চট্টগ্রামের আউটার সার্কুলার স্টেডিয়ামে সুইমিংপুল নির্মাণকাজের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন । আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত এ আদেশ বজায় রাখার জন্য বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে চট্টগ্রাম আউটার সার্কুলার স্টেডিয়াম সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার(৮ জুন) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে সংগঠনের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকটে আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী এ রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, মাঠ, উদ্যান এবং জলাধার আইন অনুযায়ী মাঠের সৌন্দর্য নষ্ট করার নিয়ম নেই। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক চট্টগ্রাম আউটার স্টেডয়ামে মাটি খনন করে সুইমিংপুল তৈরি করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিংপুল নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হয় ছাত্রলীগের। গত ১৮ এপ্রিল নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী অনুসারীর একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায়।
প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০ হাজার ৩৮০ বর্গফুটের এ সুইমিং পুল নির্মাণে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস), যার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সুইমিং পুল নির্মাণের ওই মাঠটিতে বিজয় মেলাসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে আসছিল। ওই স্থানে সুইমিং পুল নির্মাণের বিরোধিতা করে তা থেকে সরে আসতে সিজেকেএসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন বিজয় মেলার সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন।