বিছানায় রয়েছে তিন শিশুর নিথর দেহ। আধা পাকা টিনশেড ঘর। হঠাৎ তাকালে মনে হবে তারা অঘোরে ঘুমাচ্ছে। পাশের ঘরে দেখা যায় মর্মান্তিক দৃশ্য। সেখানে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন তাদের মা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়ার কালিয়ারটেক এলাকার বাড়িতে ফিরে এমন দৃশ্য দেখতে পান গৃহকর্তা মোস্তফা কামাল। পরে তার স্ত্রী রেহেনা পারভীন (৩৪) ও তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে
গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, তিন শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মায়ের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মোস্তফা কামালের ধারণা, আর্থিক সংকটেহতাশাগ্রস্ত হয়ে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে তিনিই সন্তানদের হত্যা করেন। তবে রেহেনার স্বজনরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ঘর ভাড়া ও সম্পত্তি বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে শাশুড়ি, দেবর ও ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে প্রায়ই রেহেনার ঝগড়া হতো। এর জের ধরে তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত তিন শিশু হলো কামারপাড়ার পরশমণি ল্যাবরেটরিস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী নূসরাত মোস্তফা আঁখি শান্তা (১৩), একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আর এম আরিশা শেফা (৯) ও মোছামিম সাদ (১১ মাস)।পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার বিধান ত্রিপুরা বলেন, সন্তানদের হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। রাতে ওই নারীর স্বামী বাড়িতে ফিরে বিকল্প উপায়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো বিষয়েই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, আর্থিক সংকট ও সংসারের টানাপড়েনের কথা মোস্তফা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের লাশ দাফনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। চারজনের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ ও সব পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেহেনার ভাই শামসুল আলম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এতে আসামি হিসেবে কারও নাম না থাকলেও রেহেনার ননদ কোহিনুর ও তার স্বামী মোক্তারসহ কয়েকজনকে সন্দেহ করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রেহেনা স্বামী ও তিন সন্তানের সঙ্গে কালিয়ারটেকের ওই বাসায় থাকতেন। ঘটনার সময় স্থানীয় একটি কো-অপারেটিভ সমিতির ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল বাসায় ছিলেন না। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসায় ফিরে একটি ঘরে তিন সন্তানের নিথর দেহ এবং ভেতরের ঘরে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা বলছেন, বিছানায় থাকা তিন শিশুর গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ঘটনার পর সেখান থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, বাঁ পাশে শেফা, মাঝে সাদ ও ডানে শান্তার নিথর দেহ পড়ে আছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিন কালিয়াটেকের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা সেখানে ভিড় করেছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করছেন। সাংবাদিকদের ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে জানালা দিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতরে একটি বড় খাট ও ড্রেসিং টেবিল রয়েছে। বিছানায় কয়েকটি বালিশ এলোমেলোভাবে রয়েছে। উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা, তিন সন্তানকে হত্যার পর তাদের মা আত্মহত্যা করেন। এর আগেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে মোস্তফা কামাল গতকাল সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে ইফতার করেন। এরপর তার কর্মস্থল যুবকল্যাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেডের কার্যালয়ে যান। রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখে তিনি চিৎকার করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় স্ত্রীকে নামিয়ে তিনি মুখে বাতাস দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাতে লাভ হয়নি। তখনও তিনি বুঝতে পারেননি যে, সন্তানরা বেঁচে নেই। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামে তিনি একটি পোশাক কারখানায় ভালো বেতনে চাকরি করতেন। পরে ফ্ল্যাট বেচাকেনার ব্যবসাও শুরু করেন। লোকসানের পর তিনি তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েন। সন্তানের স্কুলের খরচও দিতে পারতেন না। সংসারে অনটন লেগেই ছিল।
এদিকে রেহেনার স্বজনরা হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। ভাই মাহবুব আলম বলেন, সম্প্রতি কালিয়ারটেকে মোস্তফা কামালের পৈতৃক বাড়ির একটি অংশ ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে সেই টাকার ভাগ তাকে দেননি ভাইবোনরা। এ নিয়ে শাশুড়ি, দেবর ও ননদের সঙ্গে রেহেনার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জের ধরে চারজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বোন রোজিনা সুলতানা জানান, বিয়ের পর রেহেনাকে একদিনের জন্যও শান্তি দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচার থেকে বাঁচতে তিনি চাকরির চেষ্টাও করেছিলেন। নিজের সন্তানদের রেহেনা হত্যা করতেই পারেন না। ভাগি্ন আসমা আক্তার বলেন, কামারপাড়ার ওই বাড়িতে ২০টি টিনশেড ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। রেহেনার শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও ননদ কোহিনুর সেখান থেকে ভাড়া আদায় করতেন। ভাড়া তোলা নিয়েও তাদের সঙ্গে রেহেনার প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাকে ‘হত্যা’র পরও ঘটনাটি শ্বশুরবাড়ির কেউ রেহেনার স্বজনদের জানাননি। ঘটনাটি তারা ভাড়াটের কাছ থেকে জানতে পারেন।কোহিনুর অভিযোগ করেন, তার ভাবি একা থাকতে পছন্দ করতেন। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মিশতেন না, সন্তানদেরও মিশতে দিতেন না। তার ধারণা, আর্থিক সংকটের কারণেই ভাবি আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশী সালাহউদ্দিন জানান, ডেসটিনিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে আর ফেরত পাননি মোস্তফা কামাল। সেই থেকে তার আর্থিক অবস্থা খারাপ।এসব বিষয়ে মোস্তফা কামাল জানান, মা গত তিন মাস ধরে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে থাকেন। তবে এটা ঠিক, ২০টি ঘরের মধ্যে ১৪টির ভাড়া নেন তার মা। আর ছয়টি ঘরে তিনি ও কোহিনুর থাকেন। ডেসটিনিতে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রভাবশালী দুই ব্যক্তিকে তিনি ওই টাকা দিয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডে তাদেরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।ঢামেক মর্গে গতকাল চার নারী-শিশুর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, নারীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরীক্ষার জন্য তার কাঁধের টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিন শিশুকেই কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, তিন শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মায়ের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মোস্তফা কামালের ধারণা, আর্থিক সংকটেহতাশাগ্রস্ত হয়ে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে তিনিই সন্তানদের হত্যা করেন। তবে রেহেনার স্বজনরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ঘর ভাড়া ও সম্পত্তি বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে শাশুড়ি, দেবর ও ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে প্রায়ই রেহেনার ঝগড়া হতো। এর জের ধরে তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত তিন শিশু হলো কামারপাড়ার পরশমণি ল্যাবরেটরিস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী নূসরাত মোস্তফা আঁখি শান্তা (১৩), একই স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী আর এম আরিশা শেফা (৯) ও মোছামিম সাদ (১১ মাস)।পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার বিধান ত্রিপুরা বলেন, সন্তানদের হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। রাতে ওই নারীর স্বামী বাড়িতে ফিরে বিকল্প উপায়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢোকেন। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো বিষয়েই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, আর্থিক সংকট ও সংসারের টানাপড়েনের কথা মোস্তফা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের লাশ দাফনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকায় বিস্তারিত জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। চারজনের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ ও সব পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেহেনার ভাই শামসুল আলম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এতে আসামি হিসেবে কারও নাম না থাকলেও রেহেনার ননদ কোহিনুর ও তার স্বামী মোক্তারসহ কয়েকজনকে সন্দেহ করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রেহেনা স্বামী ও তিন সন্তানের সঙ্গে কালিয়ারটেকের ওই বাসায় থাকতেন। ঘটনার সময় স্থানীয় একটি কো-অপারেটিভ সমিতির ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল বাসায় ছিলেন না। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসায় ফিরে একটি ঘরে তিন সন্তানের নিথর দেহ এবং ভেতরের ঘরে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা বলছেন, বিছানায় থাকা তিন শিশুর গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ঘটনার পর সেখান থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, বাঁ পাশে শেফা, মাঝে সাদ ও ডানে শান্তার নিথর দেহ পড়ে আছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিন কালিয়াটেকের ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা সেখানে ভিড় করেছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করছেন। সাংবাদিকদের ঘরের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে জানালা দিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতরে একটি বড় খাট ও ড্রেসিং টেবিল রয়েছে। বিছানায় কয়েকটি বালিশ এলোমেলোভাবে রয়েছে। উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা, তিন সন্তানকে হত্যার পর তাদের মা আত্মহত্যা করেন। এর আগেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে মোস্তফা কামাল গতকাল সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে ইফতার করেন। এরপর তার কর্মস্থল যুবকল্যাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেডের কার্যালয়ে যান। রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখে তিনি চিৎকার করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় স্ত্রীকে নামিয়ে তিনি মুখে বাতাস দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাতে লাভ হয়নি। তখনও তিনি বুঝতে পারেননি যে, সন্তানরা বেঁচে নেই। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামে তিনি একটি পোশাক কারখানায় ভালো বেতনে চাকরি করতেন। পরে ফ্ল্যাট বেচাকেনার ব্যবসাও শুরু করেন। লোকসানের পর তিনি তীব্র আর্থিক সংকটে পড়েন। সন্তানের স্কুলের খরচও দিতে পারতেন না। সংসারে অনটন লেগেই ছিল।
এদিকে রেহেনার স্বজনরা হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। ভাই মাহবুব আলম বলেন, সম্প্রতি কালিয়ারটেকে মোস্তফা কামালের পৈতৃক বাড়ির একটি অংশ ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে সেই টাকার ভাগ তাকে দেননি ভাইবোনরা। এ নিয়ে শাশুড়ি, দেবর ও ননদের সঙ্গে রেহেনার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জের ধরে চারজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বোন রোজিনা সুলতানা জানান, বিয়ের পর রেহেনাকে একদিনের জন্যও শান্তি দেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচার থেকে বাঁচতে তিনি চাকরির চেষ্টাও করেছিলেন। নিজের সন্তানদের রেহেনা হত্যা করতেই পারেন না। ভাগি্ন আসমা আক্তার বলেন, কামারপাড়ার ওই বাড়িতে ২০টি টিনশেড ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। রেহেনার শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও ননদ কোহিনুর সেখান থেকে ভাড়া আদায় করতেন। ভাড়া তোলা নিয়েও তাদের সঙ্গে রেহেনার প্রায়ই ঝগড়া হতো। তাকে ‘হত্যা’র পরও ঘটনাটি শ্বশুরবাড়ির কেউ রেহেনার স্বজনদের জানাননি। ঘটনাটি তারা ভাড়াটের কাছ থেকে জানতে পারেন।কোহিনুর অভিযোগ করেন, তার ভাবি একা থাকতে পছন্দ করতেন। আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মিশতেন না, সন্তানদেরও মিশতে দিতেন না। তার ধারণা, আর্থিক সংকটের কারণেই ভাবি আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেশী সালাহউদ্দিন জানান, ডেসটিনিতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে আর ফেরত পাননি মোস্তফা কামাল। সেই থেকে তার আর্থিক অবস্থা খারাপ।এসব বিষয়ে মোস্তফা কামাল জানান, মা গত তিন মাস ধরে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে থাকেন। তবে এটা ঠিক, ২০টি ঘরের মধ্যে ১৪টির ভাড়া নেন তার মা। আর ছয়টি ঘরে তিনি ও কোহিনুর থাকেন। ডেসটিনিতে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রভাবশালী দুই ব্যক্তিকে তিনি ওই টাকা দিয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডে তাদেরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।ঢামেক মর্গে গতকাল চার নারী-শিশুর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, নারীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরীক্ষার জন্য তার কাঁধের টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিন শিশুকেই কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।