বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে ‘২০১৮ সাল হবে জনগনের বছর।’ রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়া বলেন, আমরা বিশ্বাস করিÑ ২০১৮ সাল হবে জনগনের বছর। দেশ থেকে সকল অত্যাচার ও অত্যাচারী বিদায় নেবে। আমরা পবিত্র রমজান মাস এই দোয়া করি। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকার এই বাজেটের মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে যদি ১ লাখ টাকা থাকে, তার মধ্য থেকে ৮ শত টাকা কেটে নেবে তারা। তাহলে থাকবে কী? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক টাকা থাকবে, যার এক লাখ টাকা আছে সে নাকি অনেক বড় লোক। তাদের (ক্ষমতাসীন) যে ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, সেটা কিছু না। এই অবস্থা হচ্ছে দেশের অবস্থা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া বলেন, আজকে প্রত্যেকটা জিনিসপত্রের দাম বেশি। তারপর গ্যাসের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, পানির দামও বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ দেবে বলে বাংলাদেশ নাকি জ্বলমল করবে। এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এখন সারাদেশ জ্বলমল নয়, সারা দেশ অন্ধকারে ডুবে গেছে। আর ওভার ব্রিজ-ট্রিজ যা কিছু করে তার ব্যয় যে কতগুণ বাড়ে! ৩/৪ গুণ বেশি ব্যয়ে দেখিয়ে তারা এক একটা প্রকল্প করছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ব্যাংকিংখাতের চরম অরাজক পরিস্থিতি চলছে। ২০১৬ সাল ছিলো আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা প্রতিনিয়ত চুরি করেছে, চুরি করতে করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি করেছে, চুরি করা টাকা তারা পাচার করেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুন্ঠন ঘটনার তদন্তে প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়া বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। মানুষ কোনো ন্যায় বিচার পায় না। কারণ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে আজকে সরকার, এই আওয়ামী লীগ। এদের হাত এতো লম্বা যে তারা কোথাও হাত দিতে কুন্ঠাবোধ করে না। ইফতারের মূল মঞ্চে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম, মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া। ইফতারে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ডিএল-এর সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম অংশ নেন। এছাড়া ইফতারে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, মে. জে. (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, চেয়ারপারসনর উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, সঞ্জীব চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান ও আবদুল গনি ইফতারে অংশ নেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |