আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসিন কবিরসহ চার পুলিশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা করেছেন । এই আবেদন আমলে নিয়ে তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা করেছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসিন কবিরসহ চার পুলিশ। এই আবেদন আমলে নিয়ে তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে পুলিশের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু ও অনাবিল আনন্দ রায়।

গত ২৯ মে জাবি শিক্ষার্থী নাজমুল হোসাইনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানার ওসিসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের স্বপ্রণোদিত হয়ে ৩১ মে তলব করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অসুস্থ নাজমুলকে হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে। ৩১ মে ওসি আদালতে হাজির হয়ে বলেন, চিকিৎসা দেয়ার সময় এক এসআই ও দুই কনস্টেবলের দায়িত্ব ছিল। পরে আদালত তাদের চারজনকে ৫ জুন আবারও আসতে বলেন।

সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন। আদালতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।

গত ২৬ মে  ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও  মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে জাবি ভিসির বাসভবনও ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ভিসির বাসভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৪২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে আহতও ছিল অনেকে। আহতদেরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা দেয়ার সময় এক শিক্ষার্থীর হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করে। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতালের বেডের সাথে তার একহাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি।

পুলিশের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু ও অনাবিল আনন্দ রায়।

গত ২৯ মে জাবি শিক্ষার্থী নাজমুল হোসাইনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানার ওসিসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের স্বপ্রণোদিত হয়ে ৩১ মে তলব করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অসুস্থ নাজমুলকে হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে। ৩১ মে ওসি আদালতে হাজির হয়ে বলেন, চিকিৎসা দেয়ার সময় এক এসআই ও দুই কনস্টেবলের দায়িত্ব ছিল। পরে আদালত তাদের চারজনকে ৫ জুন আবারও আসতে বলেন।

সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন। আদালতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।

গত ২৬ মে  ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও  মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে জাবি ভিসির বাসভবনও ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের ভিসির বাসভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ৪২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে আহতও ছিল অনেকে। আহতদেরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা দেয়ার সময় এক শিক্ষার্থীর হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘হ্যান্ডক্যাপড টু হসপিটাল বেড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন আহত হওয়ার পর তার বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করে। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। যেখানে হাসপাতালের বেডের সাথে তার একহাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়েছে। খাওয়ার সময় হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে অনুরোধ করলেও পুলিশ তা খুলে দেয়নি।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031