বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে পৃথক অভিযানে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে । এসময় ইয়াবাসহ টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার আলী মিয়ার ছেলে জবি উল্লাহ (১৮) ও একই এলাকার মো. হোসেনের ছেলে ওসমান (১৮)কে আটক করা হয়েছে। ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো. আরিফুল ইসলাম জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ বিওপি বিজিবি’র একটি বিশেষ টহলদল ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশের গোপন সংবাদে নাফ নদীর কেওড়া বাগানে অবস্থান নেয়। এসময় নাফ নদী দিয়ে তিনজন লোক আসতে দেখে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি ধাওয়া করে জবি উল্লাহ ও ওসমানকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় অন্য পাচারকারী পালিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্যাকেট থেকে ১০ হাজার ২৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩০ লাখ ৭ হাজার ২শ টাকা বলে জানায়। উদ্ধার ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তিদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করে তাদের সহযোগী টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. আলমের ছেলে কালা আকবর (৩৫)কে পলাতক আসামি করে মাদক আইনে মামলা করা হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি।
এদিকে একইদিন ভোরে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো.আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে দমদমিয়া বিওপি বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল নাফ নদীর ৪ ও ৫ নং ইচ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশে প্রবেশের গোপন সংবাদে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় নাফ নদী দিয়ে লোক আসতে দেখে বিজিবি চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারীরা ইয়াবার প্যাকেট ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে তাদের ফেলে যাওয়া প্যাকেট গুলো উদ্ধার পূর্বক গণনা করে ২ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকা বলে জানায়। উদ্ধার ইয়াবাসমূহ বিজিবি ব্যাটলিয়ান সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলেও জানান তিনি।