ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে দেশের তিন জেলায় । এর মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুইজন, কক্সবাজার সদরে একজন, রাঙামাটিতে দুইজন এবং ভোলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। চকরিয়া এবং রাঙামাটিতে নিহতদের মৃত্যু হয়েছে গাছচাপায়। এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভায় আতঙ্কিত হয়ে এক বৃদ্ধা এবং ভোলায় মায়ের সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মারা গেছে এক শিশু। ঢাকাটাইমসের তিন জেলার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।

চকরিয়ায় গাছচাপায় দুইজন নিহত

ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় গাছচাপায় এক বৃদ্ধাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- সায়রা খাতুন (৬৫) ও রহমত উল্লাহ (৫১)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন। তিনি জানান, সায়রা খাতুন চকরিয়ার সিকদার পাড়া এলাকার নুরুল আলমের স্ত্রী। রহমত উল্লাহ ধোলা হাজারা এলাকার বাসিন্দা।

এছাড়া কক্সবাজার শহরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মরিয়ম বেগম নামে এক বৃদ্ধা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার স্বামীর নাম বদিউল আলম।

ভোলায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শিশু নিহত

ভোলার মায়ের কোলে চড়ে মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স এক বছর।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কলাতলী সিপিপি ইউনিট টিম লিডার মো. নাজিমউদ্দিন জানান, উপজেলার আবাসন বাজার থেকে ছালাউদ্দিনের স্ত্রী জরিফা খাতুন তার শিশু ছেলেকে নিয়ে রাত একটার দিকে মনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভারী বর্ষণ ও ঠাণ্ডা বাতাসে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

রাঙামাটিতে গাছচাপায় দুইজনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে রাঙামাটিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন আসাম বস্তির হাজেরা খাতুন এবং ভেদভেদী ফাহিমা আক্তার। দুইজনই ভেঙ্গে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, সকালে ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে দুইজনই আহত হয়। পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

প্রবল ঝড়ের কারণে রাঙামাটিতে বিভিন্ন সড়কে বড় বড় গাছ ভেঙ্গে পড়ায় বন্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে পড়ায় এবং বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এছাড়া মোরার আঘাতে লাখ লাখ টাকার মৌসুমী ফল নষ্ট হয়েছে।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031