গণমাধ্যম দায়িত্বশীল আচরণ করেনি কেরাণীগঞ্জের আটিবাজার এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে ২৭ জন তরুণকে আটক করার পর ছবি প্রকাশ করে সমকামী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। এ কথা জানিয়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলেছে ।
রবিবার আসকের নির্বাহী পরিচালক শীফা হাফিজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গত ১৮ মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব কেরাণীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ২৭ জন তরুণকে আটক করে। এদের সবার বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। সমকামিতার উদ্দেশ্যে একদল তরুণ একটি কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হয়েছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব। কিন্তু পরে তাদেরকে বিরুদ্ধে দেয়া হয় মাদক আইনে। আবার সমকামিতার কথা উল্লেখ করে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ‘এসব তরুণদের নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা না করেই তাদের সমকামী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের দেশে এর আগে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের দ্বারা সমকামীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটার নজির রয়েছে।’
মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, ‘আসক মনে করে, এভাবে ছবি প্রকাশ এসব তরুণদের ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের রোষাণলে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে যথাযথ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই তরুণদের লিঙ্গ ও যৌনতাভিত্তিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে উপস্থাপনের ফলে তা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত ও মর্যাদাকে সংকটাপন্ন করে তুলবে।’
আটক তরুণদের ব্যক্তিগত মর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখার দাবিও জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ করছে তারা।