গতকাল পৃথক অভিযানে ইয়াবা জব্দ করা হয়।নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জার টেক ও কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জার টেক এলাকায় একটি নতুন জিপ থেকে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার মো. ইব্রাহীমসহ (৩২) দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অপরজন হলো মো. কামাল (৩০)। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মইজ্জারটেক এলাকায় টেকনাফ থেকে আসা অত্যাধুনিক একটি জিপে অভিযান চালিয়ে দুই মাদক বিক্রেতাসহ ১ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (বন্দর) আরিফিন জুয়েলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মইজ্জারটেক এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় নাম্বার প্লেট বিহীন জিপটিকে সন্দেহ হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে এক লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (বন্দর) আরিফিন জুয়েল জানান, ‘গাড়িতে নাম্বার প্লেট না থাকায় তাদের থামতে বলা হয়। কিন্তু তারা না থামিয়ে আরও দ্রুতবেগে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাই সন্দেহ হলে তাদের ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে এক লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। তারা ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে নগরীতে আনছিল।’
আটকৃকত মো. ইব্রাহিম টেকনাফের মাদক সম্রাট। তার বিরুদ্ধে টেকনাফে তিনটি মামলা রয়েছে। সে মাদক পাচার এবং বিক্রির তালিকাভুক্ত আসামি। অপর আসামি কামাল গাড়ি চালক। সে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মুন্সিপাড়া এলাকায় থাকলেও তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বারে।
আমাদের টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, টেকনাফে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ রাজু শীল (৪০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। আটক রাজু শীল টেকনাফের ডেলপাড়া ক্ষেতের বিল এলাকার মৃত অনন্ত কুমার শীলের পুত্র। জব্দ ইয়াবাগুলোর মূল্য আনুমানিক ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
জানা যায়, ইয়াবার একটি চালান টেকনাফ ইউপিস্থ আড়াই নম্বর ভাঙা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এমন সংবাদ পায় বিজিবি। এতে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির হাবিলদার মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল গত ১৬ মে রাত ১০টার সময় নাফ নদীর কিনারায় কেওড়া বাগানে অবস্থান নেয়। আনুমানিক রাত ১১টার সময় সন্দেহভাজন তিনজন লোককে ঐ স্থানে আসলে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় তাদের পিঠের সাথে ঝুলানো পলিথিনের ইয়াবা ভর্তি প্যাকেট ফেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে টহলদল তাদের ধাওয়া করে রাজু শীল নামের এক পাচারকারীকে আটক করতে পারলেও বাকি দু’জন পালিয়ে যায়। টহলদল পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া প্যাকেট থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।
আটক রাজু শীল জানায়, সে পলাতক আসামিদের যোগসাজসে ইয়াবাগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এনেছে। পলাতক ইয়াবা পাচারকারীরা হল– কক্সবাজার কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ এলাকার মো. মঞ্জুর আলীর পুত্র মো. আজিজ (২৫) ও টেকনাফ নাজিরপাড়া গ্রামের মো. গুড়া মিয়ার পুত্র মো. ইমাম হোসেন (২৩)।
জব্দকৃত ইয়াবাসহ আটক পাচারকারীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি ২ ব্যাটলিয়ানের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী।