মন্ত্রিসভা সেনানিবাস এলাকায় ৪৩টি অপরাধের জন্য আর্থিক জরিমানা বাড়ানো হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সেনানিবাস আইন, ২০১৬ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে । এতে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ৯৩ বছর পর আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। ১৯২৪ সালের সেনানিবাস আইনটি এত দিন পর্যন্ত বহাল ছিল।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে সভার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় তিনি কয়েকটি ক্ষেত্রে জরিমানার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দালান নির্মাণকাজ শেষ না করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, এটা ১৯২৪ সালের আইন। ৯৩ বছরের পুরনো এ আইনে শাস্তিযোগ্য কাজের জন্য জরিমানার বিধান ছিল। তবে এর পরিমাণ খুবই সামান্য থাকায় এ আইনের খসড়ায় জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, সেনানিবাস আইনের কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে আগে ১ টাকা জরিমানা করার নিয়ম ছিল। সংশোধনী অনুযায়ী, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কোনও আইন ভাঙলে ১ টাকার পরিবর্তে কমপক্ষে ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব আরও বলেন, সেনানিবাস এলাকার রাস্তায় ট্রাফিক নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে খসড়ায় সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সেনানিবাস এলাকায় নিবন্ধন ছাড়া বেসরকারি বাজার বা কসাইখানা করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে কমপক্ষে তিন হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। এখন এটা আছে ৫০ টাকা। এভাবে সেনানিবাস এলাকায় অপরাধ সংঘটনের জন্য বিভিন্ন হারে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।