শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত বনানীর হোটেল রেইন ট্রির বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভ্যাট ফাঁকির জন্য একটি এবং হোটেল থেকে মদ উদ্ধারের ঘটনায় অন্য মামলাটি করা হবে বলে জানিয়েছেন শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শরিফুল হাসান।
রবিবার রাতে ঢাকাটাইমসকে শরিফুল জানান, ‘আমরা হোটেল রেইন ট্রির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি ভ্যাট ফাঁকির মামলা আর অন্যটি মদ উদ্ধারের মামলা।’ তবে কবে হোটেলটির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
সম্প্রতি এই হোটেলটি আলোচনায় এসেছে দুই তরুণীতে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর। গত ৬ মে করা একটি মামলায় এক তরুণী অভিযোগ করেছেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ তাদেরকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন। তার আগে জন্মদিনের পার্টিতে তাদেরকে মদ খাওয়ানো হয়।
মামলার পর গত বৃহস্পতিবার সিলেটে অভিযান চালিয়ে দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাফাতকে ছয় দিন ও সাকিফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলা হওয়ার পর দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে রবিবার সকালে ঘটনাস্থল রেইনট্রি হোটেলে অভিযান শুরু করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা হোটেল থেকে বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ এবং নথিপত্র জব্দ করেন। অথচ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা হোটেলটি তল্লাশি করলেও কোনো মদ পাননি।
শুল্ক গোয়েন্দার একটি সূত্র জানায়, গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও হোটেলটি কোনো অর্থ পরিশোধ না করে এই পর্যন্ত ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এ কারণে ভ্যাট ফাঁকির একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া হোটেল থেকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর মদ উদ্ধার করায় আরেকটি মামলা করা হবে।