হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দুই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের জন্য আগামী সোমবার আদেশ দেবেন ।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া এই মামলাকে স্পর্শকাতর উল্লেখ করে কোনো ধরনের সময় দেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।
গত ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সাধারণত মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা ২৩ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন র্যাবের সাবেক সদস্য।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া র্যাব-১১-এর সাবেক সদস্যরা হলেন- চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্যরা হলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তার সহযোগী মিজানুর।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে আদালত থেকে ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ পাঁচজন এবং তার আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার ড্রাইভারকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন একই জায়গায় অন্যজনের লাশ পাওয়া যায়্।