পুলিশের সঙ্গে সুন্নি মুসলমানদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শান্তি হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, সুন্নি এবং কাওমী দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু সুন্নি ১৪৪ ধারা ভঙ করে মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ এতে বাধা দেয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সুন্নিদের ইমামে আজম কনফারেন্স নামের একটি সমাবেশে ছিল শান্তির হাট এলাকায়। এ সমাবেশের লক্ষ্যে সোমবার একটি মঞ্চ তৈরি করে সুন্নিরা। একই এলাকায় কাওমীপন্থী মোজাহিদ কমিটিও একটি সমাবেশ ডাকে। কিন্তু এরআগে সোমবার রাতের আধারে কাওমী সমর্থকরা সুন্নিদের মঞ্চ ভাঙচুর করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুন্নিরা একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে সুন্নি সমর্থকদের বাকবিতণ্ডের এক পর্যায়ে সংঘর্ষে পরিণত হয়। সংঘর্ষ বিকট আকার ধারণ করলে পটিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন থেকে রিজার্ভ পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুন্নিদের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ এতে বাধা দিলে সুন্নি সমর্থক ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ জানান, একই স্থানে উভয় পক্ষ সমাবেশে ঢাকায় পুলিশ এতে বাঁধা দেয়। কারণ ওই স্থানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তবে কে বা কারা মঞ্চ ভাঙচুর করেছে তা পুলিশ জানে না। এ ঘটনায় সূত্রে ধরে সুন্নিপন্থীরা ভাঙচুর করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে।
এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু বলেন, শান্তির হাটে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে ওহাবিরা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হলে পুলিশ সুন্নি সমর্থকদের ওপর হামলা করে।