মঙ্গলবার বিচারপতি রুহুল কুদ্দুছ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এরশাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পাওয়া উপহার তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদকে তিন বছরের কারাদ-াদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৩ মার্চ রায় ঘোষণার কথা থাকলেও ওই দিন রায়ের আগে আদালত বলেন, এরশাদের সাজা বৃদ্ধি করতে সরকার পক্ষেরও একটি আবেদন শুনানি বাকি রয়ে গেছে। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে একসঙ্গে রায় ঘোষণা করা হবে। পরে এ মামলায় এরশাদের আপিল, দুদকের পক্ষভুক্ত আপিল ও সাজা বৃদ্ধি করতে সরকারপক্ষের আপিল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন।