প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক সমস্যা, এই সমস্যার মোকাবেলায় সব ধর্মের ভূমিকা দরকার। এজন্য সব ধর্মাবলম্বীকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন । সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের কাছে সব ধর্ম সমান। এখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই।’ এ সময় তিনি ২০০১ সালে নির্বাচন পরিবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোটের সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি জোট মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারবেন। গত কয়েক বছরের শাসনামলে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে তাঁর বিশ্বাস জন্মেছে বাংলাদেশ একদিন সোনার বাংলা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য স্থির করেছি। জাতিসংঘের প্রতিটি উন্নয়ন সূচকে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক।’ এ ধারায় চললে বাংলাদেশ ৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেনি। তারা নিজেরা সম্পদ গড়েছে, কিন্তু দেশ পিছিয়ে গেছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় এলে দেশ এগিয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।