সবজি বাজার শীত যাওয়ার পরপরই তেতে উঠেছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারণে সবজি চাষিদের উপকার হলেও আবহাওয়ার অজুহাতে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দাম। রাজধানীর পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারেই ৪০ টাকার কমে সবজি পাওয়া যায় না। মহল্লার বাজারে দাম আরও বেশি। বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি।
বছরের এই সময়ে সবজির দাম তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে চলতি বছর যে দাম, অতটা থাকে না-এটা মানছেন ব্যবসায়ীরাও।
হাতিরপুল বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, মরিচ ৪০, শসা ৪০, আলু ২০, বরবটি ৫০, করলা ৫০, গাজর ৫০, লেবু হালি প্রতি ২০, চিচিঙ্গা ৫০, লতি ৫০ এবং ঢেঁড়স ৪০।
গত এক সপ্তাহে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পেঁপের। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। এখন সেই পেঁপে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। দশ টাকা বেড়ে পটল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
কাকরাইল থেকে হাতিরপুলে সবজি কিনতে এসেছেন আশরাফুল আলম। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে সবজির দাম অনেক বেশি। যেভাবে দাম বাড়ছে সেভাবে তো আমাদের বেতন বাড়ছে না। এখন এমন অবস্থা কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে বেতনের অর্ধেক টাকা্ই চলে যাবে বাজার করতে। সামনে আবার রমজান আসছে। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তখন যে কী হবে আল্লাহ জানে।’
এই ক্রেতা বলেন, ‘তবে উচ্চমূল্য নিয়ে সরকার কিছুটা নজরদারি করলে দাম কিছুটা হলেও কমতো। দেখেতো মনে হচ্ছে সরকারের নজরদারি নাই বলতে গেলে।’
এই ব্যাপারে হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহজাহান আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সামনে রমজান আইয়া পড়ছে। অহন সবজির দাম বাড়বো। গতবারের তে এইবার দাম কিছুডা বেশি। এইবার ঢাকার বাইরে বৃষ্টি বাদল বেশি হইসে। বহুস ফসল নষ্ট হইয়া গেছে। তাই দাম একটু বাড়তি।’
কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, মরিচ ৩২, শসা ৩০, পটল ৪০, বরবটি ৪০, করলা ৪২, গাজর ৩৫, লেবু হালিপ্রতি ১৫, বিদেশি পেঁয়াজ ২৬, পেঁপে ৩৮, ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা হালি।
এই ব্যাপারে কারওয়ানবাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা আওলাদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই মৌসুমে দাম হগলটাই বেশি থাহে। অহন ঝড় বাদলা আহে বেশি। এর লগে যাতায়াত খরচ বাড়তি। হের লগে নদী ভাঙনে বহুত ফসল চইলা গেসে। শবে-বরাতের আগে দাম আর বাড়নের সম্ভাবনা নাই কইতে গেলে। হের পরে দাম বাড়বো।’