অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশ সফর নিয়ে ‘নয় ছয়’ শুরু করছে। কয়েকদিন আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চেয়ারম্যান ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের বোর্ড সভাপতিকে সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেন। ওজিদের সফর নিয়ে গণমাধ্যমকে আশ্বস্ত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
‘অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর ফাইনাল। তাদের বোর্ড চেয়ারম্যান আমাকে আইসিসির মিটিংয়ে বলেছেন, তিনি স্ত্রীসহ বাংলাদেশ সফরে আসবেন। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন, বাংলাদেশ সফরে আসবেন।’
কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন মুখপাত্র পাপনের কথাটিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা আগের মতোই নিরাপত্তার শঙ্কায় ভুগছি। তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরে নিয়ে আশাবাদী। বিসিবির সাথে এ ব্যাপারে কথা হচ্ছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শকরা আছেন। তারা এটা খতিয়ে দেখছে। তাদের পরামর্শ পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।’
এটা নতুন নয়, ২০১৫ সালে নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশ সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। যদিও সে সময় ওজি দলকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেয় বিসিবি। তারপরও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসেনি।
এদিকে জুলাইতে ২টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান দল বাংলাদেশে আসার কথা। কিন্তু হঠাৎ বাংলাদেশে আসা নিয়ে টালবাহানা করে পাকিস্তানও।
পাক ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান বলে দেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সফরে আসছি না।’ কয়েকদিন পর তার মুখেই ভিন্ন সুর। বললেন, ‘বাংলাদেশ সফর বাতিল করেনি পাকিস্তান। দুবাইয়ে আমার সাথে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের আলাপ হয়েছে। আমরা চাই, আসন্ন সিরিজটা ভিন্ন কোনো ভেন্যুতে আয়োজন করতে। যেটা হবে পাকিস্তানের হোম সিরিজ।’
অথচ বিশ্ব ক্রিকেটের সফল আয়োজক দেশ বাংলাদেশ। শুরুটা হয় ১৯৯৮ সালে। সেবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল মিনি বিশ্বকাপ। যা এখন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নামে পরিচিত। এখন পর্যন্ত আইসিসির অনেক টুর্নামেন্টই আয়োজন করেছে বাংলাদেশ।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৪ আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, ২০১১ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০১৬ ও সর্বশেষ ইমার্জিং কাপ। এত টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরও ওজিরা নিরাপত্তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন তুলছেন। পাশাপাশি নতুন করে পাকিস্তানের কি হলো?