আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় গ্রেপ্তার রাজ আহমেদ ন্যয়বিচার পাবেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন । তিনি বলেন, এই ধারাটি সংশোধন করা হচ্ছে। এটা হলে এর দুর্বলতা ও বিতর্ক থাকবে না।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুব বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে উন্নয়ন নিয়ে কথা হয় এই বৈঠকে। এতে উঠে আসে জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গও।

মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক রাজুকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডের বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো। আমি এটুকু বলতে পারি আপনারা ন্যায় বিচার পাবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার প্রয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক আছে। বিশেষ করে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো এই ধারার কারণে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেকটাই কুণ্ঠিত থাকে বলে দাবি করে আসছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।

এই ধারাটি এতটাই বিস্তৃত যে, যে কারও বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি এই ধারায় মামলা করতে পারেন। এই ধারাটি সংযোজনের পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলছেন, এই ধারার বিভ্রান্তি ও দুর্বলতাগুলো দূর করা হবে। তিনি বলেন, ‘এটি ইলেকট্রনিক মাধ্যম নিয়ে করা হয়েছিল। এর মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটিকে আমরা দূর করবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করতে যাচ্ছি। এটি এখন ভেটিং পর্যায়ে আছে। এটা চূড়ান্ত হলেই আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার দুর্বলতা এবং বিতর্ক থাকবে না। এটি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে চলে যাবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘ফ্রিডম অব প্রেস’ এ বিশ্বাসী। এমন কোনো আইন হবে না, যাতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দেবো না। আমি কোনো কথাই বলেবো না, এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই। যেসব বক্তব্য তিনি দিয়েছেন আপনারা গণমাধ্যম সেটার বিচার করবেন, দেখবেন। আমার যদি কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে আমি সেটা তার সামনেই দেবো।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। ভাল সম্পর্কের ক্ষেত্রে কথা আদান প্রদান জরুরি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের ধারা অব্যাহত থাকবে।’

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031