আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৯৭ কোটি ডলার পাচার হয়েছে-একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার এই প্রতিবেদন সত্য হলে মানি লন্ডারিং আইনে বিচারের ঘোষণা দিয়েছেন । তিনি বলেন, টাকা পাচার একটি গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধ করে কেউ পার পেতে পারে না।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) নামে একটি সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক এই গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪- এই ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে মোট ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ২০১৪ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় পাচার হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০১৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যাটা অবশ্য ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
বৈদেশিক বাণিজ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও অন্যান্য অবৈধ পথে এই অর্থ পাচার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জিএফআই। সোমবার প্রকাশিত ‘ইলিসিট ফাইন্যান্সিয়াল ফ্লোজ টু অ্যান্ড ফ্রম ডেভেলপিং কান্ট্রিজ: ২০০৫-২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়।
জিএফআইএর এই প্রতিবেদনের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মানি লন্ডারিং আইন রয়েছে। যদি টাকা পাচারের ঘটনাটি সত্য হয়, তাহলে আমরা এই আইনেই এটির বিচার করতে পারবো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে আই। দেশে একটি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট আছে। এই রিপোর্টের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এ আইনেই বিচার হবে।’