নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান পরিবহন শ্রমিকদের শাস্তির জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য আইন চেয়েছেন । পরিবহন আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এমন আইন মানবো না। শ্রমিকদের স্বার্থের বিরোধী আইন কেন হবে।’
মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মতিঝিলের বক চত্বরে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে এই দাবি জানান শাজাহান খান। ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনে’র আয়োজনে ঢাকার পরিবহন শ্রমিকরা সমাবেশ করে।
শাহাজান খান মন্ত্রী হলেও তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের নেতা হিসেবে সমধিক পরিচিত। বিশেষ করে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে যখনই কোনো আইন বা উদ্যোগ নেয়া হয়, প্রতিবারই তিনি আলোচনায় আসেন।
পরিবহন আইন সংশোধন করে দুর্ঘটনাসহ নানা বিষয়ে শাস্তি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে জরিমানা।
শাজাহান খান বলেন, ‘কোন পরিবহন শ্রমিক অপরাধ করলে, তাকে শাস্তি দেওয়ার আগে তার সেই অবস্থা আছে কি না সেটা আগে দেখার অনুরোধ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের মাধ্যমে সাজা মেনে নেব, তবে আইনের অধিক সাজা মানবো না।’
মে দিবসে পরিবহন শ্রমিক সমাবেশে শ্রমিকদের স্বার্থ আদায়ে জন্য সকল প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সহযোগিতা করতেও শ্রমিকদের আহ্বান জানান নৌমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার শ্রমিকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকার শ্রমিকবান্ধব। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে।’
সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদেরকে ভাল আচরণের পরামর্শ দিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘সকল ড্রাইভার, হেলপার, কনট্রাকটরদের বলছি, আপনারা যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। আপনারা ভালো ব্যবহার করবেন, যেন আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের দুঃখ বেদনার সাথে সাধারণ মানুষ সহানুভূতি দেখায়। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আপনারা ভালো থাকতে পারবেন না।’
সমাবেশে জানানো হয়, শ্রমিকদের জন্য শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ শ্রমিকদেরকে জাতীয় নিরাপত্তা বলয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এর সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইনসাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সদস্য সচিব ও বিলস এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বসুন্ধরা সিমেন্টের মহাব্যবস্থাপক (সেলস) খন্দকার কিংশুক হোসেন।