সহায়ক সরকারের পক্ষে ফের নিজেদের অবস্থানের কথা পরিস্কার করেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে । তিনি বলেছেন, আমাদের বক্তব্য খুব স্পষ্ট করে বলেছি। বর্তমান সরকার স্বৈরাচার এবং তারা একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে। এই সরকারের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সহায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। অন্যথায় এখানে কখনও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, বাংলাদেশের জনগণ তা গ্রহণ করে নেবে না। দুপুরে বিএনপির ঢাকা মহানগরের নবনির্বাচিত দুই কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ কথা জানান। বর্তমান সরকারকে অগণতান্ত্রিক ও একনায়কতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি কি পারে আর কি পারে না তা অতীতে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা বলছিÑ যে একটা সরকারি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া তারা নির্বাচন করে দেখুক, কারা এদেশে নির্বাচনে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, হাওরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দেখতে বিএনপি নেতাদের সুনামগঞ্জে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপাসন সবখানে গেছেন, যখন দরকার হবে আবারও যাবেন। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশেই আছে। ১লা মে প্রধানমন্ত্রীর সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা আছে, তার আগে আমাদের কোনো টিমকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না। মির্জা আলমগীর বলেন, যারা বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দেয় না, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও তাদের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি নেতাদের হাওরাঞ্চলে যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে। মহানগরে কমিটি নিয়ে বিভক্তি আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কমিটি নিয়ে বির্তক কিছু নেই। আমাদের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে মহানগরের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে, তারা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। আমরা আশাবাদী নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত এই দুইটি কমিটি আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনকে আরও বেগবান করবেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব দলের প্রতিষ্ঠা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলসহ মহানগর বিএনপি নবনির্বাচিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে নতুন কমিটির নেতাদের সঙ্গে আসা কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগরকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ঢাকা দক্ষিণের ৭০ সদস্যের এবং উত্তরের ৬৪ সদস্যের এই আংশিক কমিটি অনুমোদন করে বিএনপি।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |