বোরকার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করা হয়েছে নেদারল্যান্ডের পর জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সরকারি কর্মকর্তা, বিচারক এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত মুসলমান নারী কর্মক্ষেত্রে বোরকা ব্যবহার করতে পারবেন না। এর আগে জার্মানির প্রায় ১৬টি রাজ্যে শিক্ষকদের বোরকা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল মুসলিম মহিলাদের সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা বোরকা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি উত্থাপন করার পর বোরকার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করল দেশটির পার্লামেন্ট।
শুধুমাত্র জার্মানিতে নয়, বিশ্বজুড়ে লাগাতার সন্ত্রাসী হামলা ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় ইউরোপের অন্যান্য দেশেও মুসলিম নারীদের হিজাব বা বোরকার বিষয়ে বিতর্ক ছিল।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস দে মেজিয়া বলেছেন, অন্য সংস্কৃতির বিষয়ে জার্মানি কতটা সহনশীলতা দেখাবে এর মাধ্যমে তা সুনির্দিষ্ট করা হলো।
গত দুই বছরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে জার্মানিতে দশ লাখের বেশি মুসলমান অভিবাসী আসে। মুসলমান নারীদের ভেতরে সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা নেকাব বা বোরকার প্রচলন রয়েছে। তবে জার্মানিতে ঠিক কতজন মুসলমান নারী বোরকা পরিধান করে সে ব্যাপারে সরকারি কোনো হিসাব নেই। তবে মুসলমানদের সংগঠন সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমসের নেতা আইমান মাজইক জানিয়েছেন, জার্মানিতে খুব কম মুসলমান নারীই বোরকা পরিধান করে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত মাসে ইউরোপের আরেক দেশ নেদারল্যান্ডের এমপিরাও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাশ করেন। ওই আইনের আওতায় সরকারি পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা খাত ও সরকারি ভবনে বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়। আইন অমান্য করলে শাস্তিরও বিধান রাখা হয়।
২০১১ সালে প্রথম দেশ হিসেবে ইউরোপে বোরকা নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করে ফ্রান্স। এরপর একে একে বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া ও সুইজারল্যান্ডের অংশ বিশেষে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়।