সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পূর্ব রেলের সাবেক সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা। তাদের উপস্থিতিতেই আদালত রায় দেয়।
দুদকের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, রায়ে তিনজনকে চার বছর কারাদন্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত দুই মামলা থেকে পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। দুই মামলায় ১৮ জন করে সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ফারুকও। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে সে সময় বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে। এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ফুয়েল চেকার পদে এবং ১৮ আগস্ট সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মৃধাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ গত বছরের ৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ঢাকার আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার।