বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ খুব শিগগিরই ডলারের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি ডলারের দাম ৮২ টাকা। খুব শিগগিরই তা ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনা হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘ডলারের দাম স্বাভাবিক হবে, ৮০ টাকার নিচে চলে আসবে। যে কারণে ডলারের দাম বেড়েছে তা সমাধান করার উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। বহুবছর ধরে ডলারের দাম একটা স্টেজে আছে, এটা স্বাভাবিক রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। যার কারণে এই মূল্যটা স্বাভাবিক হবে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, মে মাসে রোজা শুরু হয়ে যাবে। এর মধ্যে হঠাৎ ডলারের মূল্য বেড়ে গেল। গত দুই দিন এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি ইতোমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ডলারের দাম ৮৪ টাকা হয়েছিল, সেটা ৮২ টাকায় এসেছে। যেখানে আমাদের ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ, সেখানে আমরা যদি ২০০ বা ৪০০ মিলিয়ন ডলার ব্যাংকে দিয়ে দেই তাতে আমাদের কোনো ক্ষতি নাই। ডলারের দাম স্বাভাবিক হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডলারের দাম বৃদ্ধি পেলে ভোজ্য তেলসহ যেসব জিনিস আমরা আমদানি করি সেগুলোর দামও বেড়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা তো লস দিবে না, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, এটাই ভোক্তাদেরকেই দিতে হবে। যাতে না বাড়ে সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিল আমি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করব। রোজার মাসে যেন পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক থাকে, আমরা সে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকও গ্রহণ করবে।’
সম্প্রতি দেশে চালের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায় না বলে অনেক দিন ধরে লেখালেখি হয়েছে। যার কারণে ইমপোর্টের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি, যাতে ইমপোর্টে নিরুৎসাহিত করা হয়। এখন আবার তদবির চলছে, যাতে আবার এই শুল্কটা কমিয়ে দেই। কমিয়ে দিলে আবার আমাদের দেশে ইমপোর্টের চাল আসবে, আবার চালের দাম কমবে। এতে আবার আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
এ সময় আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই হবে বলে মন্তব্য করে সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে আশা করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে নির্বাচন করবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। ক্ষমতাসীন দল এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই তারা নির্বাচন করবে। বাকি যেগুলো তারা বলেন, এগুলো রাজনৈতিক কারণে বলতে হয়। নির্বাচনের জন্য আমরা দলীয়ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।’