প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে ৩৩ শতাংশের বেশি নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও সংস্কার’ শীর্ষক এক প্রকল্পের অনুষ্ঠানে এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
২০০৯ সালের আরপিও’র ৯০-এর খ-এর খ(২) অনুচ্ছেদে, কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্যে সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং এই লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রার আগেই ২০১৯ সালে দেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে কেবল ৩৩ শতাংশ কেন? আমি আশা করছি তারচেয়ে বেশি নারী নির্বাচনে অংশ নেবে।’
যুক্তি তুলে তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীরা বেশি পরিমাণে ভর্তি হচ্ছে। ছেলেদের চেয়ে তারা ভালো করছে। তারা যদি উপযুক্ত হয়, ভালো কাজ করে, দক্ষতা দেখায়, দেশপ্রেম থাকে; তাহলে তাকে কেন মূল্যায়ন করা হবে না?’
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন নারী সাংসদের উদাহরণ টেনে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমাদের এখানে নারীরা সংখ্যায় কম হলেও, ওজনে কিন্তু অনেক ভারী।’
বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো তাদের খোঁজ নিই। গর্বের সাথে বলতে পারি, তারা ছেলেদের চেয়ে অনেক ভালো করছে।’