আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য সরানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণে বিচারকদের এক অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনটা কিন্তু প্রধান বিচারপতির। এখানে ভাস্কর্য যখন লাগানো হয়েছিল তখনও আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। আর এই ভাস্কর্য উঠানোর ব্যাপারেও উনার (প্রধান বিচারপতি) সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু আমি এটুকু বুঝি যে, এই ভাস্কর্য প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব উঠেছে।’
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘এই সুপ্রিম কোর্টটা অত্যন্ত পবিত্র স্থান। এটা যেন কোনোভাবেই কলুষিত না হয়, এখানে যাতে কোনো রকম অরাজকতা না হয় সেটা সবার বিবেচনা করা উচিত।’
ভাস্কর্য স্থাপনে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ কলুষিত হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেটা বলছি না, প্রশ্ন উত্থাপন হয়েছে। এটা কিন্তু প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। সে কারণে আপনারা বুঝেন আমি কী বলেছি।’
‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড লেবার লেজিসলেশন ফর জাজেস অ্যান্ড জুডিশিয়াল অফিসার্স’ শীর্ষক বিচারকদের জন্য একটি ট্রেনিংয়ের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন এবং আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টরও শ্রীনিবাস বি রেড্ডি।
৩০ বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এ কর্মশালা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
অংশগ্রহণকারী বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, কক্সবাজার, নরসিংদী, বাগেরহাট, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও চাঁপাইনবাগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ, ঢাকার ২য় শ্রম আদালত, চট্টগ্রামের ১ম শ্রম আদালত ও খুলনার শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা জজ)। এছাড়াও নয় জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৩০ জন অংশ নিচ্ছেন।