হুসেইন মুহম্দমদ এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্যটিকে ইসলামি মূল্যবোধের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন । তিনি বলেন, ‘ন্যয়বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা আছে সুতরাং সেখানে মূর্তির প্রয়োজন নেই।’
দুপুরে রংপুরে পাঁচ দিনের সফরে এসে তার পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মাস কয়েক ধরেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটিকে মূর্তি আখ্যা দিয়ে সেটি অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। গত ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ওই ভাস্কর্য অপসারণ নিয়ে তিনি কথা বলবেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে।
পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে। ভাস্কর্যটি ঈদের নামাজ চলার সময় ঢেকে রাখা বা ময়দান থেকে দেখা যায় না এমন কোনো স্থানে সেটি স্থাপনের অনুরোধ করেন তিনি। মন্ত্রিসভার গত বৈঠকে এ বিষয়টি তিনি প্রকাশ করেন।
এরশাদও মনে করেন, যে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে সেটা গ্রিক দেবী থেমিসের নয়। তিনি বলেন, ‘গ্রিক মূর্তি হলে ওটাতে শাড়ি পড়া থাকতো না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়েও কথা বলেন এরশাদ। ওই সফরে সই হওয়া সামরিক সমঝোতা স্মারক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা লাভবান হয়েছি না ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তা বিস্তারিত না জেনে কিছুই বলা যাবে না।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টিও চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে বাধ্য। তা না হলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে।
এরশাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তিস্তা চুক্তি হবে। এই নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বদলে অন্য কোন নদীর পানি চুক্তি আমরা মানবো না।’
রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফি, প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।