অলিগলি থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সর্বত্র চলছে মাদক বাণিজ্য। মাদকের হোতারা প্রভাবশালী। তাদের বলা হয় মাদকসম্রাট। নানা কৌশলে, প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের নানাভাবে ম্যানেজ করে এই মরণ নেশার বাণিজ্য করছে চক্র। ধ্বংস করে দিচ্ছে যুব সমাজকে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের সমাজবিজ্ঞানীরা। অলিগলি থেকে বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সুস্থ-মেধাবী যুবক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে। এজন্য এখনই সমন্বিত সামাজিক প্রতিরোধ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি হিসাবে দেশের ৬০ লাখ মাদকাসক্তদের ৭০ ভাগই মাদক হিসেবে ইয়াবা সেবন করে। তারা মূলত যুব সমাজ। অধিকাংশরাই বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ও সাহিত্যিক ডা. মোহিত কামাল বলেন, মাদকাসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ। হতাশাগ্রস্তদের টার্গেট করে তাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মাদক। শহরে-গ্রামে বিক্রি হচ্ছে মাদক। মাদকের ভয়াল থাবা এখন ঘরে ঘরে। তিনি বলেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসা করাতে চান না। তারা মনে করেন, তারা ভালো আছেন। চিকিৎসার দরকার নেই। বুঝতে হবে- এটি একটি মানবোমা। এই রাসায়নিক দ্রব্যটি শরীরে ঢুকে মানবদেহকে ধ্বংশ করে দেয়। সাধারণত কৌতূহলে, স্লিম হওয়াসহ নানা মিথ্যা প্রলোভনে ও হতাশা থেকে মাদক গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তা নেশায় পরিণত হয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদক সেবনের জন্য নানা অজুহাতে অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা নেয়। এজন্য ভাঙচুর, চুরি করে। এমনকি মারধরও করতে পারে। অধিকাংশরা ইয়াবা সেবন করছেন। তাদের জানা দরকার, ইয়াবা ধোঁয়ার মাধ্যমে ফুসফুস, রক্ত ও ব্রেনে যায়। মানুষের শরীরে ঢুকে মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। মাদকাসক্তির কারণে ধীরে ধীরে অমানুষে পরিণত হয়। তখন সে নানা ধরনের অমানবিক কাজ করতে থাকে। জেনেশুনে এই রাসায়নিক বোমাটি কেন গ্রহণ করবে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্ণধাররা। তিনি বলেন, যেভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে তারা যখন দেশের নেতৃত্ব আসবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবে তখন তারা ওই প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করে দেবে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |