হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিমানের জন্য রাডার ক্রয়ের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন । ১৯৯০ সালে গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার দুই বছর পর ১৯৯২ সালে এই মামলাটি হয় তার বিরুদ্ধে। ২৫ বছর পর রায় দিল বিচারিক আদালত।
বুধবার বিকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এই আদেশ দিয়েছেন। এই মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের মতো খালাস পেয়েছেন আরও তিন আসামি।
গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করা হয়েছিল।
মামলার অপর আসামিরা ছিলেন সাবেক সহকারী বিমান বাহিনীর প্রধান সুলতান মাহমুদ, মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক একেএম মুসা। আসামিদের মধ্যে মুসা পলাতক।
প্রায় ২৫ বছর ধরে চলমান রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির এই মামলায় ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেন বলে অভিযোগ করা হয়।