বিএনপি তো বটেই, রাজনীতি থেকেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রায় তিনবছর পর দুইভাগ করে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে জায়গা হয়েছে মহানগর বিএনপির আলোচিত নেতা নবীউল্লাহ নবীর। তবে তিনি যে পদ পেয়েছে তাতে মনে জেগেছে ক্ষোভ।

মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা মহানগরের দুই অংশের কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। এতে নবীকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতির পদ দেয়া হয়। তবে তার আকাঙ্ক্ষা ছিল আরও বড় কোনো পদের। তিনি এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হবেন-এমন গুঞ্জনও ছিল।

কমিটিতে সহসভাপতির তিন নম্বরে নিজের নাম দেখে যারপরনাই ক্ষুব্ধ নবী। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, এই পদ ছাড়বেন তিনি। শুধু কমিটি থেকেই নয়, রাজনীতি থেকেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন নবী। দুই একদিনের মধ্যে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।

কমিটিতে নবীর উপরে রয়েছেন শামসুল হুদা ও ইউনুস মৃধা। যারা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।

কমিটিতে প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে কি এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নে ঢাকাটাইমসকে নবী বলেন, ‘দল যাদের যোগ্য মনে করেছে, যাদের দিয়ে আন্দোলন হবে মনে করছে তাদের পদ দিয়েছে। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি আর রাজনীতি করবো না মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। দুই একদিনের মধ্যে মহাসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব। এরপর সামাজিক কাজকর্ম করবো।’

ঢাকা মহানগর রাজনীতিতে নবীউল্লাহ নবী পরিচিত নাম। বিশেষ করে ডেমরা-যাত্রাবাড়ি এলাকাতে তার বেশ প্রভাব রয়েছে।একসময় সরকারবিরোধী আন্দোলনে ওই এলাকায় তার অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

নবীর রাজনৈতিক জীবনের শুরু বিএনপির জন্মের আগে আগে। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের গঠিত জাগো দলের যুব শাখার বৃহত্তর ডেমরা থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর বিএনপির ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি ছিলেন প্রায় ২৫ বছর। ঢাকা মহানগর বিএনপির গত কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।

নবী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ টার মতো মামলা আছে। এখন স্বাস্থ্যগত দিকও ভালো না। জীবনটা তো আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই গেলো।আর কত?’।

নবী আরো বলেন, ‘সাবেক  কমিশনাররা, বিভিন্ন থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ফোন করতেছেন। আমি বলেছি তোমরা কি করবে সেটা আমি জানি না। তবে আমি আর রাজনীতি করবো না।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031