১৪ পুলিশ ও ২৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে নির্মাণাধীন সুইমিং পুল বন্ধের দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে । এ সময় ছাত্রলীগের ৪ জন এবং পুলিশের ৪ জন সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে। ইটের আঘাতে শরীফুল হক চৌধুরী নামে এক ফটো সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনার রেশ ধরে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ কর্মীরা নগরীর জিইসির মোড়, ষোলশহর, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে আউটার স্টেডিয়ামের দক্ষিণ অংশে সুইমিংপুল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটায় নগর ছাত্রলীগের একাংশ আউটার স্টেডিয়ামে ঘেরাও কর্মসূচি পালন শুরু করে। নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেন। ছাত্রলীগের কর্মসূচির কারণে কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে নেভাল অ্যাভিনিউ সড়ক পর্যন্ত পুলিশ গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, আনুমানিক এক ঘণ্টা ধরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রথমে মানববন্ধন ও পরে রাস্তা আটকে সমাবেশ শুরু করলে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোয়া ৪টার দিকে মহানগর যুবগলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ সমাবেশে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে তারা স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ ছাত্রলীগকে ছত্রভঙ্গ করতে ছররা গুলি ছোড়ে। ছাত্রলীগের উত্তেজিত কর্মীরা ইটপাটকেল নি েপ করে পাল্টা জবাব দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলতে থাকে। এসময় তারা সুইমিং পুল নির্মাণ উপল ে চারপাশে ঘিরে রাখা টিনের বেড়া ভাঙতে শুরু করেন। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এরপর শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশও শুরু করে লাঠিচার্জ। কিন্তু এরপরেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা না সরে উল্টো আরও জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেলে নিক্ষেপ করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা আশপাশের গাড়ি ভাংচুর করতে করতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েন। পরে তাদের একটি দল এস এস খালেদ সড়কের এসএস খালেদ সড়কের মুখে বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে তারা সটকে পড়েন।

পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই তাণ্ডবের সময় কাজির দেউড়ির চারপাশের আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারিরা ছুটতে থাকেন এদিকওদিক। এই ঘটনার জেরে নগরীর জিইসির মোড়, ষোলশহর, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট মোড়সহ কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সড়ক অবরোধ এবং হকি স্টিক ও লোহার রড দিয়ে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালী থানার ওসি জসীম উদ্দিন আহত হয়েছেন। অন্যান্য আহতরা হলেনএসআই শহীদ, এসআই মহিবুর রহমান, কনস্টেবল পিকলু দাশ, নিখিল দাশ। এই ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি জসীম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, আমি নিজে আহত হয়েছি। আমার দুইজন এসআই, কনস্টেবলসহ ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পিকলু দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসআই শহিদের কপালের বাঁ দিক ফেটে গেছে। আর কনস্টেবল পিংকু দের শরীরে ছররা গুলি লেগেছে।

পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক আজাদীর ফটো সাংবাদিক অনুপম বড়ুয়া এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য ও দৈনিক পূর্বকোণের ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ শরীফুল হক চৌধুরী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ কর্মীর ছোঁড়া পাথরের আঘাতে সাংবাদিক শরীফুল হক চৌধুরী মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাৎ ণিকভাবে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষের সময় দৈনিক আজাদীর ফটো সাংবাদিক অনুপম বড়ুয়াও আহত হন।

ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, নগরীর কাজির দেউড়ি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিকাল ৫টার দিকে ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের শ’খানেক নেতাকর্মী কাজির দেউড়ি থেকে ওয়াসার মোড় দিয়ে জিইসি যাচ্ছিল। এসময় লালখান বাজার থেকে একটি গ্রুপ সশস্ত্র অবস্থায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত: ছাত্রলীগের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিনসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। জসিম উদ্দিন বুকে ইটের আঘাত পেয়েছেন। অন্যদের মধ্যে কোতোয়ালী থানার এসআই শহীদুর রহমানের মাথা ফেটে গেছে। দামপাড়া পুলিশ লাইনের কনস্টেবল পিকলু পায়ে গুলি লেগেছে। এছাড়াও আরেকজনের হাত ফেটে গেছে। বাকিরা ছোটোখাটো আঘাত হয়েছেন।

ছাত্রলীগের ২৫ নেতাকর্মী আহত: ছাত্রলীগের নেতারা জানান, পুলিশের লাঠি চার্জে ছাত্রলীগের রনি, সোহেল, নিজাম, নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী বাবু, গোলাম সামদানী জনি, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য লিটন চৌধুরী রিংকু, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ফয়সাল, সুমন ও জিয়ান সহ ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রনি, সোহেল, নিজাম চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভাংচুরে দুটি রিকশার চাকা ভেঙে দেওয়া, তিনটি মিনি বাস, বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কারসহ ১২ থেকে ১৫টি গাড়ির কাচ ভাংচুর করা হয়েছে বলে পুলিশ ও প্রত্য দর্শীরা জানিয়েছেন। এছাড়াও স্টেডিয়াম এলাকায় সমাবেশ স্থলে পাস্তা ভিলা নামে একটি খাবারের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গাড়ি ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত অতিরিক্ত পুলিশ এসে জিইসি মোড়ে লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এক গ্রুপ ষোলশহরের দিকে এবং আরেক গ্রুপ গোলপাহাড়ের দিকে চলে যায়।

ষোলশহরের দিকে যাবার পথে হোটেল লর্ডস ইনের সামনে আবারও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও তাদের ধাওয়া দিয়ে সিএন্ডবি কলোনির গলিতে ঢুকিয়ে দেয়। প্রায় আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

নুরুল আজিম রণি বলেন, দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরা কোন ধরনের উসকানি ছাড়াই আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা মাঠ রক্ষার আন্দোলন করছিলাম। এটা কোন রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। মাসুমের নির্দেশে তারা পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য আমাদের উপর হামলা করেছে।

দিদারুল আলম মাসুম বলেন, আউটার স্টেডিয়ামে গন্ডগোল করে যাবার সময় লালখান বাজার মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি জানতাম না। আমি হার্টের রোগী। কয়েকদিন আগে ডাক্তার দেখিয়েছি। এখন বাসায় বিশ্রামে আছি। আমার নির্দেশ দেয়ার সুযোগ কোথায় ?

গত রোববার (১৬ এপ্রিল) নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণ বন্ধ করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় নগর ছাত্রলীগ। নির্ধারিত সময় শেষে গতকাল দুপুর ৪টার দিকে সুইমিং পুল ঘেরাও কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ঘটনায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করবে পুলিশ: আউটার স্টেডিয়ামে সংর্ঘষের ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছি। তিনি বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে সুইমিং পুল নির্মাণ হচ্ছে। এটা নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল। আজ (গতকাল) পৌনে চারটার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি ইমু ও সাধারণ সম্পাদক রনির নেতৃত্বে ৪০০৫০০ লোক বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য আসে। সুইমিং পুলের তি হতে পারে এমন আশঙ্কায় আমরা তাদের তাৎ ণিকভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিই। কিন্তু একটা পর্যায়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করে সরকারি কাজ নস্যাৎ করার চেষ্টা করে। সরকারি দলের একটি অংশ এটি করেছে। পরে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এই ঘটনায় মামলা হবে, এরসঙ্গে জড়িতরা এবং ইন্ধনদাতারাও গ্রেফতার হবেন।

ছাত্রলীগ দায়ী করছে পুলিশকে : এই সংঘাতের জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। তিনি আজাদীকে জানান, আমরা রাস্তার উপর কর্মসূচি পালন করে জনদুর্ভোগ চাইনি। তাই বারবার মাইকে ঘোষণা দিচ্ছিলাম সুইমিং পুল নির্মাণ এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু পুলিশ আমাদের দাবি না মানায় এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের ৪জন কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং ২৫ আহত হয়েছেন। আমরা মাইক নিয়ে মাঠে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ মাইক ফেলে দিয়েছে। আমাদেরকে মাঠে সমাবেশ করতে দেয়নি। রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলপ্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছেরাস্তা বন্ধ করে কোন সমাবেশ করা যাবেনা। এসময় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। এসময় মেয়রের গাড়িও আটকে যায়। মাঠে সমাবেশ করার সুযোগ দিলে আমরা সমাবেশ করে চলে যেতাম। কিন্তু পুলিশ অতর্কিত লাঠি চার্জ এবং গুলি করে। অথচ এসময় আমাদের কাছে একটি সুঁইসুতাও ছিলনা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা সন্ত্রাসজঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ করেছি। সেসময় আজম নাছিরমহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্ন আসেনি। অথচ সিডিএর অনুমোদন ছাড়া এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া আউটার স্টেডিয়ামে খেলাধুলার মাঠে সুইমিং পুল করা হচ্ছে ! সিটি কর্পোরেশনের কাজ হলো খালি উদ্যান রক্ষা করাকিন্তু তারা তা না করে সুইমিং পুল নির্মাণে নীরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। খেলার মাঠে সুইমিং পুল করতে দেয়া হবেনা। আজ বুধবার ৩টায় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং ৫টায় পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দেয়া হবে হামলার প্রতিবাদে।

আইন কলেজ ছাত্রলীগের তীব্র নিন্দা

আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুলের নির্মাণ কাজে কতিপয় ছাত্রলীগ নামধারী অছাত্র সন্ত্রাসী ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র এবং সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান জিহাদ ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাসুদ, ছাত্র সংসদের ভি.পি মোহাম্মদ রায়হানুল হক চৌধুরী ও জি.এস মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন এক যৌথ বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। বিবৃতিতে তারা বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে কতিপয় ছাত্রলীগ নামধারী অছাত্র অস্ত্র হাতে সংগঠন বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়। গতকাল কাজির দেউড়ী আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণাস্থলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে তা কখনো বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক করতে পারে না। আমরা মনে করি ছাত্রলীগকে কলুষিত করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় অছাত্র সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল সোনালী অর্জনকে কালিমা লেপনের হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমরা আইন কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদ এই ঘৃণিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি কোন ছাত্রলীগ কর্মী সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী এই রকম হীনকাজে লিপ্ত হতে পারে না। তাই আমরা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটির ছাত্রনামধারী ঐ সমস্ত অছাত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

ফটো সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ

নগরীর আউটার ষ্টেডিয়ামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন দৈনিক আজাদীর ফটো সাংবাদিক অনুপ বড়ুয়া ও দৈনিক পূর্বকোণের ফটো সাংবাদিক শরিফ চৌধুরী। এসময় তাদেরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পাকিং এ থাকা দৈনিক নয়া দিগন্তের ফটো সাংবাদিক আখতার হোসাইনের মোটর সাইকেলটিও ভাংচুর করা হয়। ফটো সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করি মাত্র, কারো প্রতিপ নই। পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে আমরা সকলের সহযোগিতা কমনা করি।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031