ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমমন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি তার হাতে তুলে দেন। বাংলাদেশের প্রথম যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হচ্ছে সেটির অবিকল প্রতিরূপ বা রেপ্লিকা তুলে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঘটনা ঘটে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
চলতি বছর ১৬ ডিসেম্বর, জাতীয় বিজয় দিবসে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ এর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। এরই মধ্যে স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ ৬৫ ভাগ ও উৎক্ষেপণ কাজের রকেট নির্মাণের কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স ও ফ্যালকন নাইন উৎক্ষেপণযান ব্যবহার করে ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে ডিসেম্বরে এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইটটি বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সরকার। মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে এ স্লট। এখানেই মহাকাশে ঘুরে ঘুরে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ বাংলাদেশকে সেবা দিয়ে যাবে।
চুক্তি অনুসারে প্রাথমিকভাবে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে ১৫ বছর করে আরও দুবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। স্যাটেলাইটের মূল অংশ তৈরি, উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ ও বিমার কাজ চলছে।
উৎক্ষেপিত হওয়ার পর বাংলাদেশকে চল্লিশ ধরনের সেবা দেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-ওয়ান। দেশের ইতিহাসের প্রথম এই স্যাটেলাইটের সহায়তায় দেশের টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রকল্প পরিচালক গোলাম রাজ্জাক সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।