বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রামে বর্ষবরণ চলছে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে । হাজারো কণ্ঠে ওস্তাদ স্বর্ণময় চক্রবর্তী ‘বিলাসখানী টোড়ী’ রাগের খেয়ালের মধ্য দিয়ে নগরীর ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে বাংলা ১৪২৪ সনের প্রথম দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হলো।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টায় ডিসি হিলে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের ই আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব, সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’।
আপর দিকে, ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ স্লোগানকে ধারণ করে নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় চলছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ভায়োলিনিস্ট চিটাগাং এর বেহালার সুরে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সাড়ে সাতটায় শুরু হয় অনুষ্ঠান।
এদিকে উৎসবে যোগ দিতে ডিসি হিলে দেখা গেছে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। শিশু থেকে শুরু করে বুড়ো বাদ যায়নি কেউ। শ্রেণি-পেশা-বয়স ভুলে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি।
বর্ষবরণের ১ম অধিবেশনে ‘সংগীত ভবন, জয়ন্তী, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, গুরুকুল সংগীত একাডেমি, সুর-সাধনা সংগীতালয়, গীতধ্বনি, ইমন কল্যাণ সংগীত বিদ্যাপীঠ, সৃজামি সাংস্কৃতিক অংগন, নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, গুরুকুল, নৃত্যম একাডেমি, ঘুঙুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, দি স্কুল অব ফোক ডান্স, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, স্বরনন্দন প্রমিত বাংলা চর্চা কেন্দ্র ও বিভাস আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’ সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করছে।
বিকেল আড়াইটায় বর্ষবরণের ২য় অধিবেশন শুরু হবে। এ অধিবেশনে অংশ নেবে ‘রাজেশ্রী, সুন্দরম শিল্পী গোষ্ঠী, উপমা সাংস্কৃতিক অংগন, বংশী শিল্পকলা একাডেমি, ফতেয়াবাদ সংগীত নিকেতন, শহীদ মিলন সংগীত বিদ্যালয়, বাণী মঞ্জুরী ললিতকলা একাডেমি, সপ্তডিঙ্গা শিল্পাঙ্গন। সপ্তসুর বিদ্যানিকেতন, মনোরমা নৃত্যাঙ্গন, অপ্সরী ডান্স একাডেমি, উদিত নৃত্য একাডেমি ও নরেন আবৃত্তি একাডেমি’ সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
আপর দিকে, সিআরবির শিরীষতলায় নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে দলীয় পরিবেশনায় অংশ নিয়েছে সংগীত ভবন, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ, বোধন আবৃত্তি স্কুল, অবকাশ ধারা শিল্পী সংস্থা, সুন্দরম শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, চারুতা নৃত্যকলা একাডেমি, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, শ্যামা নৃত্যাঙ্গন, নৃত্যনন্দন, চট্টল কুঁড়ি, নির্মাণ আবৃত্তি অঙ্গন, শাশ্বত ললিতকলা একাডেমি, গোধুলী সংগীত একাডেমি, নিক্কন একাডেমি, নৃত্য নিকেতন, সাধনা সঙ্গীত একাডেমি, আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, শব্দনোঙর, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদ, সুর সাধনা সঙ্গীতালয়, স্লোগান সাংস্কৃতিক স্কোয়াড, সপ্তস্বর সঙ্গীত বিদ্যালয়, সৃজামি’।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে শুরু হবে দলীয় নৃত্য পরিবেশনা। এতে ‘ঘুঙুর নৃত্যকলা একাডেমি, সঞ্চারী নৃত্যকলা’র শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করবেন।
এরপর শুরু হবে বাউল সংগীত। এতে বাউল গান পরিবেশন করবেন রাজ্জাক সাঁই বাউল ও তাঁর দল। পরবর্তীতে মোহাম্মদ হোসেন, শংকর দে, পাপড়ি ভট্টাচার্য্য, পলি শারমিন, শিমুল শীল, সনজিত আচার্য্য, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী একক সংগীত পরিবেশন করবেন।
বিকেল ৫টায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।