সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে ঢাকা-কোলকাতা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসকে। আজ সকালে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে শতভাগ এসি বগিযুক্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মৈত্রী এক্সপ্রেসকে দেশবাসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি নববর্ষের উপহার উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ দিনে যাত্রীদের জন্য আরও আরামদায়ক করে ট্রেনটি চালু করা হলো। রেল এগিয়ে চলেছে, নতুন নতুন কোচ ইঞ্জিন আনা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা অধিক হারে সেবা পাচ্ছে। রেলমন্ত্রী এ সময় বলেন, রেল খাতে আরও অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রেলখাতের আমুল পরিবর্তন হবে।
ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, রেলপথ খাত ভারত ও বাংলাদেশ দুটি বন্ধু দেশের সরকারদের মধ্যে একটি অসাধারণ সম্পর্কের অনন্য উদাহরণ। গত ৮ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীদ্বয় খুলনা-কোলকাতা রুটে পরীক্ষামূলক চলাচল উদ্বোধন করেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থ রেলসংযোগটিরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আমরা আশা করছি খুলনা-কোলকাতা রুটে নিয়মিত রেল চলাচল এ বছরের মধ্যেই শুরু করতে পারব।
শ্রিংলা আরও জানান, মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীসেবা আরও আরামপ্রদ করার জন্য এই বছরের মধ্যে শুল্ক ও অভিবাসন সমস্যা নিরসনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি মৈত্রী এক্সপ্রেসে ভ্রমণকারী যাত্রীদের, ভ্রমণকালে যাঁদের দর্শনা ও গেদে উভয় স্টেশনেই নামতে হয়, দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব করবে। ভ্রমণের সময়সীমা বর্তমানের ৯ ঘন্টা থেকে প্রায় ৬ ঘন্টায় নেমে আসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ৪৫৬ আসনের নতুন এই ট্রেনটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রথম শ্রেণির চারটি কোচ এবং চারটি এসি চেয়ার কোচ থাকবে। মোট ৪৫৬ যাত্রী এখন থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন। এই কোচগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে তৈরি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার প্রথম ঋণের (লাইন অব ক্রেডিট) আওতায় এগুলি ক্রয় করেছে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী ট্রেন চলাচল করছে। আগে এটি নন এসি সহ চলাচল করত। আজ পয়লা বৈশাখ থেকে সম্পুর্ণ এসি কোচ দ্বারা চলবে। এর আসন সংখ্যা ৪৫৩। ১০ টি কোচ দ্বারা সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করবে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। ভাড়া ২০ ডলার ও ১২ ডলার, সাথে ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স।