প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে আতিয়া মহল নামের বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে এর অদূরে এক বোমা বিস্ফোরণে নিহত ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীর পরিবারকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন । এই টাকা দুই পরিবারের নামে ব্যাংক হিসাবে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মাধ্যমে এ্ই অনুদান পৌঁছে দেয়া হবে।
ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল বাসিত রুম্মান। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘তবে এই অনুদান দেয়া হয়েছে কি না, এটা আমার জানা নেই।’
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিহত দুই ছাত্রলীগ নেতার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুমোদন করেছেন।’
রায়হান বলেন, দুজনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। এ টাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিগগিরই তাদের পরিবারের কাছে অনুদান পৌঁছানো হবে।’
গত ২৪ মার্চ সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশসাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় এই আস্তানার অদূরে পুলিশের তল্লাশি চৌকির কাছে বোমা বিস্ফোরণে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান আবুল কালাম আজাদসহ সাতজন নিহত হন। আজাদ গুরুতর আহত হয়ে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্য নিহতদের মধ্যে দুজন জান্নাতুল ফাহিম ও কলেজছাত্র অহিদুল ইসলাম অপু ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
ফাহিম দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং অপু মহানগর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
অন্য চারজনের মধ্যে রয়েছেন সিলেটের জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়ছর, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম। বাকি একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।