শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও চিন্তায় প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি থেকে তার কথা সরাসরি শোনার, তাকে কিছু জানানোর সুযোগ কয়জনের হয়? তবে আধুনিক যুগে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এই সুযোগ এখন পাচ্ছে হাজারো বা লাখো মানুষ।তিনি গত কয়েক মাস ধরেই বিভাগীয় পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছেন, জেলা পর্যায়ে উপস্থিত মানুষদের বক্তব্য শুনছেন। এর ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ময়মনসিংহ বিভাগের জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন-সেটা আগেই প্রচার করা হয় বিভাগের চার জেলায়। সেই হিসাবে ব্যাপক উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এসব জেলার প্রতিটি সার্কিট হাউজ, জেলা সদর, উপজেলা সদর, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রোথ সেন্টারসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের উদ্যোগ নেয়া হয়। স্থাপন করা হয় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বড় পর্দা, টেলিভিশন।
বিভাগের চার জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণায় ভিডিও কনফারেন্সে মোট চার হাজার ১৯টি পয়েন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত হয় স্থানীয়রা। এদের মধ্যে আছেন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রিতিনিধি, শিক্ষার্থী, এলাকার গণমান্য ব্যক্তি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
শুরুতেই সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। জানান, বিভাগের উন্নয়নে সরকারের নেয়া ভূমিকার কথা। বলেন, যে কোনো সমস্যায় সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াবে তার সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ময়মনসিংহ বিভাগ করেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক চারলেন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ সীমান্তের সড়কও করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
জঙ্গিবাদের প্রতি জনসচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি সমাজকে ধ্বংস করেছে, এ থেকে ছেলেমেয়েদের দূরে রাখতে হবে।
এরপর ময়মনসিংহ থেকে জেলা প্রশাসন খলিলুর রহমান তার বক্তব্য দেন। তিনি জানান, তার জেলায় এক হাজার ৫১৭টি স্থানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ।
এরপর স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম তার বক্তব্য দেন। তিনি ধর্মীয় নানা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, জঙ্গিবাদ কখনও ইসলামসম্মত হতে পারে না।
এই ধর্মীয় নেতাকে বক্তব্য দিতে আমন্ত্রণ জানানোর সময়ই জেলা প্রশাসককে বলা হয়, একজন শিক্ষার্থীকে বক্তব্য দিতে প্রস্তুত রাখতে। ইমামের বক্তব্যের পর পর জিলা স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র এনামুল হাসান জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়।
এই পর্যায়ে গণভবন থেকে ময়মনসিংহের প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারকে বক্তব্য দিতে বলা হয়। এরপর অন্য জেলাগুলোর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত হন।