ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ‘কওমি মাদ্রাসার উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি দেওয়া মানে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে কোনও আপস করা নয়। এটা রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা। জনগণের আবেগ অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে ওবায়দুল কাদের এ বক্তব্য দিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেকোনো মানদ-ে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত কার্যকরি, ফলপ্রসূ ও সমগ্র জাতির জন্য মর্যাদাপূর্ণ। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই সফর সম্পর্কে গতানুগতিক মিথ্যাচার ও অন্তঃসারশূন্য বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
বিএনপির এ ধরনের অসত্য, বানোয়াট ও দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং বিএনপি নেত্রীকে কোনো কিছু না জেনে, না বুঝে ‘অন্ধকারে ঢিল ছুড়ে মারার’ অপরাজনীতি থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতিপয় অর্বাচীন ব্যক্তি ও দল সময়ে সময়ে এক ধরনের ‘ভারতীয় জুজু’কে পুঁজি করে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টা চালান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার এই নোংরা খেলা নতুন কিছু নয়।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘ভারত বিরোধিতার রাজনীতি’র কৌশল বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন দেশপ্রেমিক জনগণ বিএনপির ভারতবিরোধিতার বহুল প্রচারিত এই ভাঙা রেকর্ড বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির গাত্রদাহের নিগূঢ় রহস্য তার কাছে আছে বলে দাবি করেন। বুধবার খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যকে অজ্ঞতার পরিচয়, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও উসকানিমূলক বলে আখ্যায়িত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর অনেক দেশের সঙ্গে সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।