আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ই মে দিন ধার্য করেছেন। আজ পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় আজ খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য প্রদানের দিন ধার্য ছিল। খালেদার জিয়ার আইনজীবীরা আদালত পরিবর্তনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। বিচারক পরিবর্তনে এখতিয়ার ওই আদালতের নেই উল্লেখ করে আবেদনকারীদের হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
এদিকে দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার ১১টা ১০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান খালেদা। এর আগে সকাল ১০টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুই মামলাই বর্তমানে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার বিচার চলছে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের এজলাসে। আর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ (মহানগর দায়রা জজ) মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার করছেন।
দুটি মামলাই আগে আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে বিচারাধীন থাকলেও খালেদা এতিমখানা মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করায় গত ৮ মার্চ হাই কোর্ট বিচারক বদলে দেন। ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ