হাইকোর্ট দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা সংক্রান্ত রিটটি কিছু পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছে।

এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা নিষ্পত্তি করে রায় দেয় আদালত।

বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী একটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটের ওপর ২০১৬ সালের ১০ মে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়ে ২৮ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। এরপর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষামাণ রাখে আদালত।

এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানাতে রুল জারি করেন।

পরে রিট মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলো। ওই বেঞ্চ সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন।

তারা হলেন, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ।

সমালোচকরা বলছেন, বাংলাদেশের সব সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়া হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ বিচারপতি নিয়োগে এসবের কোনো বালাই নেই।

এই সুযোগ অনেক অযোগ্য এবং দলবাজ লোক বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যান।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031