এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রকাশ্য কোন্দল ও বিপরীত মুখি অবস্থানের বিষয়ে মুখে কুলপ এঁটে বসে আছেন চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ।
দলের সিনিয়র এই দুই নেতার মারমুখী অবস্থানের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়াসহ যে কোনো সময় নগরের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে-এমন শঙ্কার কথা স্বীকার করলেও সরাসরি বলতে নারাজ নগর আওয়ামী লীগের নেতারা ।
তবে নগরবাসীর অভিমত, এলাকা ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তারে মহিউদ্দিন-নাছির গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে রূপ নিতে যাচ্ছে। এতে করে নগরের আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দলীয় বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
গত ১০ এপ্রিল বিকালে নগরীর লালদিঘীর মাঠে একটি জনসভায় নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছিরকে খুনী দাবি করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ।
জনসভায় তিনি বলেন, নগর ভবনকে পাগলের কারখানা বানিয়েছে নাছির ।
বন্দরে অবৈধ ব্যবসাসহ আ জ ম নাছিরের নানান কুকীর্তির ফিরিস্তি দিয়ে আ জ ম নাছিরকে সন্ত্রাসী হিসেবে অবহিত করেন আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা ।
পরিপেক্ষিতে, মহিউদ্দিন চৌধুরীকে পাগল দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র নাছির বলেন, না পাওয়ার বেদনা থেকে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। মেয়র আরো বলেন, আমি খুনী হলে খুনের প্রমান দিক তিনি।
নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই দুই নেতার মারমুখী অবস্থান, পাল্টাপাল্টি অরাজনৈতিক কথাবার্তা , ব্যাক্তি আক্রোশের কারণে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজরনীতে নেতিবাচক প্রভাব পরছে এমন আশংকার কথা স্বীকার করলেও দুজনের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সিটিজি নিউজকে বলেন, দয়া করে এই বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না ।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফসারুল আলম (এমপি) বলেন, অরাজনৈতিক ইসুতে কোনো মতামত দিতে চাইনা ।
তবে মহিউদ্দিন ও মেয়র নাছিরের ব্যক্তিগত আক্রোশ ও মারমুখি অবস্থানের কারনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. অনুপম সেন বলেন, এই বিষয়ে আপাতত কিছু বলতে পারবো না । তিনি আরও বলেন, পরে কোন এক সময় এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করবো ।