সরকার গঙ্গা বাঁধ প্রকল্প পুনঃমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রকল্প পুনঃমূল্যায়নের জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমরা এ প্রকল্প (গঙ্গা বাঁধ প্রকল্প) পুনঃপরীক্ষা করব। হাই পাওয়ার্ড টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করব। কমিটি দেখবে হোয়াট আর দ্যা অলটারনেটিভস (কি কি বিকল্প আছে)। এটা কী মূল নদীতে নাকি শাখা নদীতে হবে সেটিও এ কমিটি দেখবে।
খুব শিগগিরই এ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তবে এ কমিটিতে কারা কারা থাকবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পাংশায় গঙ্গা বাঁধ প্রকল্প পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলতে পারেন। প্রস্তাবিত প্রকল্পে যদি অন্য কিছু দেখি তাহলে এটি ওখানে হবে না। এজন্য প্রকল্প আপাতত বন্ধই আছে। নতুন করে কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে এটি কোথায় নির্মাণ হতে পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এক্ষেত্রে ফারাক্কা বাঁধের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি।
এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এর প্রভাব আমরা দেখছি। এসব বিষয় মাথায় রেখেই গঙ্গা বাঁধের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গঙ্গা বাঁধ অবশ্যই হবে। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে বাঁধ কোথায় হবে, কীভাবে হবে এবং ডিজাইন কী হবে?
১৯৯৬ সালের ভারত-বাংলাদেশ পানি চুক্তির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে আমরা যে পানি পাই সে পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সেটিও কারিগরি কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, ৪০০ কিলোমিটার ব্রক্ষপুত্র, গঙ্গা ও মেঘনা নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীনের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক রয়েছে। বৈঠকে দেশের নদী ব্যবস্থাপনায় চীন আমাদেরকে আরও সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। নদী খনন, ড্রেজিংসহ নদী ব্যবস্থাপনাসহ বন্যার পূর্বাভাস আরও আগে কীভাবে পাওয়া যায় তা নিয়েও চীনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।