আচমকা ভক্তদের কাঁদিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে গুড বাই বলে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহানায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে কোনো এমন প্রস্থান। প্রশ্ন জাগে? আমার নয়, এদেশের লক্ষ-কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর মনে। কথা দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টির ভিত শক্ত করেই তবে অবসর নেবেন এই ফরম্যাট থেকে। কিন্তু দেখতে হলো তার উল্টোপিঠ।
রাতারাতি কি করে বদলে গেলো সব ভাবনা। ২০০৯ সালের পর আর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি শরীরের কারণে। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সেই অধ্যায়কে বিদায় বলেননি আনুষ্ঠানিকভাবে। তবে টি-টোয়েন্টি থেকে কেনো এমন অবসর।এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে এলো পর্দার আড়ালের কিছু কথা।
বিসিবির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে অনেক দিন আগ থেকেই চাচ্ছেন মাশরাফি, তামিম ও মুশফিককে টি-টোয়েন্টি থেকে বের করতে। তাদের এই ফরম্যাটে প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না তিনি। তবে শেষমেশ কোচের ভাবনাই ফলিল।
টি-টোয়েন্টি দলকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ম্যাশ। সেই রঙিন ‘স্বপ্নের মৃত্যু’ হলো। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পরই টের পেয়ে যান তাঁকে আর দরকার নেই দলের। বিসিবির কর্তা ব্যক্তিরা মাশরাফিকে সোজা বলে দেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবো’। এমন ইঙ্গিতের পর অবসর নিয়ে ভাবার বিষয়টা মাথায় চড়ে বসল মাশরাফির।
প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার আগেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। এই সিরিজের পর আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবেন না তিনি। তাঁর অবসর নিয়ে এর আগেও একবার অদ্ভুত গুজব মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ক্রিকেটপাড়ায়। দল নিউজিল্যান্ডে, অথচ বিসিবি প্রধান দেশে বসে ঘোষণা দেন, আর টি-টোয়েন্টি খেলবেন না মাশরাফি। অবাক হয়েছিলেন মাশরাফি নিজেও। পরে অবশ্য ঘোষণার মোড় প্রবাহিত হয় অন্যদিকে।
টাইগার কাপ্তানকে নিয়ে এমন নানা কাণ্ডের অবসান ঘটল গেল রাতেই, তাঁর বিদায় বলার মাধ্যমে। যাবার বেলায় মাশরাফি অন্তত এই সান্ত্বনা পাবেন, কেউ ভালবাসুক আর না-ই ভাসুক পাগল সমর্থকরা ঠিকই চোখের জলে মহানায়ককে বিদায় দিয়েছেন।