প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং তাদের তথ্য সংরক্ষণ করতে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে ,দেশে ১৫ লাখ ১০ হাজার ৮শ প্রতিবন্ধী রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
এই তথ্য সংগ্রহ চলমান থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ অটিস্টিক হলেই সাধারণত তাকে স্কুলে নেওয়া হয় না। সাধারণ স্বাভাবিক ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মিশলে তাদের বেড়ে ওঠা সহজ হয়। আমি প্রতি উৎসবে প্রতিবন্ধীদের আঁকা ছবি দিয়ে কার্ড বানাই। এর জন্য তাদের কিছু আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়। এসএসসি পরীক্ষার সময় এদের জন্য আধাঘণ্টা বেশি সময় দেওয়া হয়। তাদের ফলাফল সুস্থ্য ছেলেমেয়েদের চেয়েও ভালো। খেলাধুলায়ও বাংলাদেশের জন্য প্রতিবন্ধীরা স্বর্ণপদক নিয়ে আসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা-২০১০ এ প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আট হাজার স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধিদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদেরও বৃত্তি উপবৃত্তি ছাড়া বিশেষ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ৩২টা থেরাপি ভ্যান সমস্ত বাংলাদেশ ঘুরবে, ভ্যানের ভেতর সমস্ত ব্যবস্থা আছে। সেটা দিয়ে প্রতিবন্ধীরা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে তা শনাক্ত করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রর মধ্য দিয়ে ছোট বয়স থেকেই প্রতিবন্ধিতা আছে কিনা শনাক্ত করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ২২টি হাসপাতালে শিশু বিকাশকেন্দ্রে মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অটিজমে আক্রান্তদের উন্নয়নে সায়মা ওয়াজেদের উদ্যোগে একটি ফাউন্ডেশন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে অভিভাবক ও বিভিন্ন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে যাতে অটিজমে আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়।’